• বিভাগঃ রাজশাহী
  • জেলাঃ নওগাঁ
  • উপজেলাঃ নিয়ামতপুর

মোসা. সাহেলা বেগমের বয়স ৪৫ বছর। স্বামী মো. আকবর আলী (৫৫)পেশায় একজন কৃষক ও ছেলে মো. মিঠুন কে নিয়ে তাদের সুখের সংসার গড়েছেন নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের কানইল আশ্রয়ণ প্রকল্পে। এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে তাদের সাথে আরও ২৩ টি পরিবার বসবাস করছে। মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়ায় আগে খালের ধারে জরাজীর্ণ ঘরে ছেলে মেয়েসহ গাদাগাদি করে বসবাস করতেন।মেয়ের বিয়ের পরে সমস্যা আরো বেড়ে যায় যখন জামাই মেয়ে বেড়াতে আসতো। সংসারে স্বামী ছিল একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। কোন দিন একবেলা খেয়ে, কোন দিন আধা পেটে দিন পার করতেন। ঘরের টিনের চালে বর্ষাকালে ঘরে থাকা ছিল দায়। বৃষ্টিতে ভিজতো পুরো বাড়ি আর বিছানা। দুর্বিষহছিল জীবন।

সাহেলা বেগম আর আকবর আলির জীবনের মোড় ঘুরে যায় ২০২১ সালে। মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে। দুই শতক জমিসহ একটি দুই রুমের আধাপাকা ঘর বুঝিয়ে দেয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পক্ষে উপজেলা প্রশাসন। কানইল গ্রাম উপজেলা সদরের খুবই কাছে। উপজেলা সদরের পাশে জমি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের।

নতুন ঘর ও জমি তাদের আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান করে তোলে। সাহেলা বেগম নিয়ামতপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে সেলাই

প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সেলাইয়ের মাধ্যমে তারা আয়রোজগার করেন। পাশাপাশি ২টি ছাগল পালন করেন। স্বামীর পাশাপাশি সাহেলা বেগমের আয়ে সচ্ছলতা আসে তার পরিবারে। এভাবেই ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে সাহেলা বেগম ও আকবর আলী, পরিবারের।পাকা বাড়ির পাশাপাশি একখণ্ড জমি দিয়েছে তাদের নিশ্চিত ঠিকানা ও অফুরন্ত আত্মবিশ্বাস।