- বিভাগঃ ঢাকা
- জেলাঃ নরসিংদী
- উপজেলাঃ পলাশ
- পৌরসভা/ইউনিয়নঃ জিনারদী
গল্পের খোদেজা, ৩৪ বছর বয়সী একজন বিধবা অপরিনত বয়সে পরিবারের ইচ্ছায় বিয়ে হয় খোদেজার। স্বামীকে হারিয়েছেন বিয়ের কয়েক বছরের মাথায়। এখন পরিবার বলতে সে আর তার একমাত্র অন্ধেরজষ্টী মেয়ে (১৯)। বিয়ের মাত্র ০৩ বছরের মাথায় সড়ক দূর্ঘটনায় স্বামীকে হারান খোদেজা।কোলে তখন ০২ বছরের মেয়ে।শুরু হয় খোদেজার বেঁচে থাকার সংগ্রাম। পৃথিবীর নিয়ম যেন বদলে যেতে থাকে। নিয়তির নির্মম পরিহাসে স্বামীর মৃত্যুর পর শ্বশুর বাড়িতে মাথা গোজার ঠাইটুকু ও পায়নি খোদেজা। দুধের শিশুকে নিয়ে কোথায় যাবে, কি খাবে দিশেহারা হয়ে পড়ে সে। জীবন জীবীকার তাগিদে,মাথা গোজার ঠাঁই খুজতে শুরু হয় খোদেজার জীবন যুদ্ধ।
দুর্দিনের
প্রথম দিকে প্রতিবেশী এক খালার বাসায় আশ্রয় নেন খোদেজা। সেখানে সারাদিন তাদের
সংসারের যাবতীয় কাজের বিনিময়ে মিলেছিলো খোদেজা আর তার সন্তানের থাকার জায়গা।
বারান্দার এক কোনে একটি কাথার উপর মেয়েকে নিয়ে দিনযাপন করত সে। কিন্তু নিয়তীর
নিষ্ঠুর পরিহাস । সে সুযোগটুকু ও হারালো খোদেজা । কিছুদিন পর থেকেই বাসা ভাড়া
চাইতে শুরু করেন বাড়ির মালিক। ভাড়া দেওয়ার মত সামর্থ্য ছিলোনা বলেই প্রতিনিয়ত
অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হতো তাকে।এক পর্যায়ে সেই আশ্রয়
থেকে বিতাড়িত হয়ে মেয়েকে নিয়ে নতুন আশ্রয়ের খোঁজে বের হয় খোদেজা । নুর ইসলাম নামক
এক লোকের বাড়ীতে সাময়িক আশ্রয় মিললেও তার কষ্টের অবসান হয়না। সেখানে ছিলোনা
স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, ছিলোনা পানির সুব্যবস্থা। বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা
করতে তাকে খানিকটা দূরে পায়ে হেঁটে যেতে হয়েছে অন্য বাড়ি। মোমবাতি কেনার পয়সা
জোগাড় করতে না পারায় অনেক রাত ছোট মেয়েকে নিয়ে অন্ধকারে কাটিয়েছে খোদেজা। মানুষের
বাসায় বাসায় কাজ করে ভাত, কাপড় এবং মাথা গোজার ঠাইয়ের ব্যাবস্থা করতে হয় তাকে।
এভাবে চলতে থাকে খোদেজার পরাশ্রয়ী জীবন।
উপকারভোগীকে বরাদ্দকৃত ২ শতাংশ জমির বর্তমান বাজার মূল্য: ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ টাকা) মাত্র।
এমন দূর্দিনে খোদেজাদের জীবনে সৌভাগ্যের
চাবিকাঠিরূপে আবির্ভূত হয় মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার
উপহার গৃহহীণদের আশ্রয়ন।এরই ধারাবাহকতায় গল্পের খোদেজা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
উপহার আশ্রয়ন প্রকল্প -২ এর মাধ্যমে খুঁজে পায় তার স্বপ্নের ঠিকানা। বর্তমানে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার পেয়ে পূরন হয়েছে খোদেজার বাসস্থানের অভাব।এখন
আর তাকে দুশ্চিন্তা করতে হয় না বাসা ভাড়ার টাকা জোগাড় করার। এখানে মিলেছে
স্বাস্থ্যকর পরিবেশ,নিরাপদ পানির সুব্যবস্থ। এখন আর অন্ধকারে থাকতে হয়না তাদেরকে।
প্রতিরাতে ঘর আলোকিত হয় বিজলী বাতিতে। ভালো আছে ,শান্তিতে আছে খোদেজা। তার মেয়ে
এখন কলেজে পড়ে । মেয়েকে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখে সে।
নতুন
জীবন দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চিরকৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানায় এবং
সৃষ্টিকর্তার কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেন খোদেজা।