• বিভাগঃ ঢাকা
  • জেলাঃ নরসিংদী
  • উপজেলাঃ পলাশ
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ জিনারদী

১. উপকারভোগীর বর্ণনা: ৪৫ বছর বয়সী মনধন সরকার তার স্ত্রীর নাম মিনতী রানী সরকার। তাদের রয়েছে ০২ জন ছেলে সন্তান। বড় ছেলের বয়স ১৫ বছর।দুর্ভাগ্য বশত সে মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। ১০ বছর বয়সী ছোট ছেলেটারও প্রায় বছর তিনেক আগে ধরা পড়েছে মরণ ব্যাধি ক্যানসারের জীবানু।

 

২. উপকারভোগী পূর্বের অবস্থায় কেমন ছিলেন: বিয়ের পর স্ত্রী মিনতী রানী কে নিয়ে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার বড়িবাড়ি নামক স্থানে নতুন সংগ্রামী জীবন শুরু করেন ভূমিহীন, গৃহহীন এক যুবক মনধন সরকার। বড়িবাড়ির এক গৃহস্থ পরিবারের এক কক্ষ বিশিষ্ট একটি মাটির ঘরে ১০০০ /- টাকা ভাড়ার বিনিময়ে আশ্রয় মেলে এই দম্পতির। সেখানে ছিলোনা স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, ছিলোনা রান্নার সুব্যবস্থা। দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নিরাপদ সুপেয় পানির অভাবে । বাড়ির মালিকের পুরাতন, জরার্জীণ অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার করতে হতো পুরো পরিবারটিকে। খাবার পানির জন্য যেতে হতো কিছুটা দূরে অবস্থিত অন্য বাড়িতে। ছিলোনা বিদ্যুতের ব্যবস্থা। সন্তানদের পড়াশোনা এবং রাতের অন্ধকার দূর করার একমাত্র অবলম্বন ছিল মোমবাতি এবং হেরিকেনের আলো। কোনমতে দিন যায় রাত আসে মনধনের ।মনধন ভাড়ার রিক্সা চালিয়ে তার আয় হতো সবমিলিয়ে ৪/৫ হাজার টাকা। কিন্তু এই সল্প আয়ে বাসা ভাড়া দিয়ে সংসারের অন্যান্য খরচ চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে ছিলো তাদের। একসময় তাদের ঘরে জন্ম নেয়া ২ জন ছেলে সন্তান স্কুলে যেতে শুরু করে, বেড়ে যায় সংসারের খরচ। পরিবারের সদস্যদের আহার জোগাড় করতেই হিমশিহ অবস্থা মনধনের বাড়ির ভাড়া দিবে কিভাবে? নিরুপায় হয়ে মনধনের স্ত্রী মিনতী রানীকে নিতে হয় বাড়িওয়ালার ঝি এর কাজ। বাড়ি ভাড়ার পরিবর্তে বাড়িওয়ালর সংসারের যাবতীয় গৃহস্থলীর কাজ করতে হয় মিনতীকে । এভাবেই চলছিলো তাদের নিদারুন কষ্টের সংসার।

 

৩. উপকারভোগীকে বরাদ্দকৃত ২ শতাংশ জমির বর্তমান বাজার মূল্য: ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ টাকা) মাত্র।

৪: ঘর পেয়ে তিনি/তাঁর পরিবার বর্তমানে  কেমন আছেন: একদিন মনধনের জীবনে আলাদীনের প্রদীপের মত আবির্ভূত হয় গণতন্ত্রের মানসকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার গৃহহীণদের আশ্রয়ন। এরই ধারাবাহকতায় গল্পের মনধন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে খুজে পায় তার স্বপ্নের নীড়। বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার পেয়ে ঘুচে গেছে মনধনের বাসস্থানের অভাব। এখন আর তাকে দুশ্চিন্তা করতে হয় না বাসা ভাড়ার টাকা জোগাড় করার। এখানে মিলেছে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিরাপদ পানির সুব্যবস্থা। তার স্ত্রী এখন আশ্রয়নের ঘরের পাশে করেছে ফলের চারা রোপন এবং পেয়েছে সবজি চাষের সুযোগ। বিদ্যুৎহীন মোমবাতির টিমটিমে আলোয় রাত কাটানো মনধনের বাড়িতে আজ ঝকঝকে বিদ্যুৎ এর আলো। পরিবারের সকলে ব্যবহার করছে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট।

নতুন জীবন দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চিরকৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানায় এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেন মনধন ও তার পরিবার।