• বিভাগঃ রাজশাহী
  • জেলাঃ নওগাঁ
  • উপজেলাঃ নিয়ামতপুর

সীমা রানীর বয়স ৩৪ বছর, বিধবা মা শেফালি রানি বয়স ৫২ বছর এবং এক কন্যা নদীর বয়স ১৫ বছর। অন্যেও বসতভিটায় অনুমতি নিয়ে অস্থায়ীভাবে জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করত। মেয়ের বয়স যখন ৮ বছর সীমার স্বামী তাকে রেখে চলে যায়। মা বয়স্ক হওয়ায় উপার্জনে অক্ষম ছিল। সংসারের ভার এসে পড়ে সীমার ওপর। মা আর ৮ বছরের মেয়েকে নিয়ে শুরু হয় সীমার দুর্বিষহ জীবন যুদ্ধ। একটি ক্লিনিকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ নেন সীমা। পড়া লেখা করাতে থাকেন মেয়েকে। কিন্তু অন্যের জায়গায় বসবাস করায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে কপালে। না জানি কখন না ছেড়ে দিতে বলে মালিক। সীমা স্বপ্ন দেখতেন তার একটি সুন্দর বাড়ি থাকবে, মেয়েকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন, মাকে একটি সুন্দর জীবন দান করবেন। সীমা রানি সেই স্বপ্ন পূরণ হয় ২০২১ সালেমুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নের ঘর পাওয়ার মাধ্যমে । সীমা রানি ও তার মায়ের নামে দুই শতক জমি সহ একটি আধাপাকা দুই রুমের ঘর বুঝিয়ে দেয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে উপজেলা প্রশাসন ।কানইল গ্রাম উপজেলা সদরের খুবই কাছে। উপজেলা সদরের পাশে জমি পেয়ে ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সীমা রানী্র পরিবারকে। সীমারানীর হয়েছে একটি স্থায়ী আশ্রয়। পেয়েছে উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ। তার মেয়ে এখন নবম শ্রেণিতে নিয়ামতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। সীমারানীর মা শেফালি রানি বাড়ির পাশে বিভিন্ন সবজির বাগান করেছেন। পাশাপাশি হাঁস মুরগি পালন করেন। এভাবেই ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে সীমা রানি ও তার পরিবারের গল্প। পাকা বাড়ির পাশাপাশি একখণ্ড জমি দিয়েছে তাদের নিশ্চিত ঠিকানা ও অফুরন্ত আত্মবিশ্বাস।