• বিভাগঃ খুলনা
  • জেলাঃ খুলনা
  • উপজেলাঃ ডুমুরিয়া
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ ডুমুরিয়া

মোছাঃ রিনা পারভিন। বয়স পঁয়ত্রিশ (৩৫) স্বামী আঃ ওদুত ঢালি, পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। একসময় তাদের একমাত্র পুত্র তুহিন ঢালীকে নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে কাঁঠালতলা নামক স্থানে বসবাস করতেন। তখন তার স্বামী অন্যের দোকানে কাঠমিস্ত্রির কাজ করে যে টাকা রোজগার করতেন, তাতে তাদের কোনোরকম খেয়ে না খেয়ে চলতে হতো। অর্থাভাবে তাদের একমাত্র সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পারতেন না। দারিদ্রের কষাঘাতে জীবন ছিল তার দুঃসহ পীড়াদায়ক। দারিদ্রপীড়িত জীবনে নিজের জমি আবাসনের কথা তারা চিন্তাও করতে পারতেন না। অবশেষে তাদের নিকট আসে এক অনন্য সুযোগ। ২০২১ সালে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শতক জমি সহ সেমিপাকা ঘর পেয়ে তাদের পরিবারের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। উক্ত জমির বাজার মূল্য ,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা। শুরু হয় এক নতুন পথচলা, দিনবদলের সূচনা। জমি ঘর পাওয়ার পর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করেছিলেন সেই অনুষ্ঠানে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের যে সুযোগ পেয়েছিলেন-তা তার জীবনের এক স্মরণীয় অধ্যায়। রিনা পারভীন এখন তার ঘরের আঙিনায় শাক-সবজি চাষ করেন। ফলে বাজার থেকে তার কোন শাক-সবজি কিনতে হয়না বরং নিজের উৎপাদিত শাক-সবজি মাঝে মাঝে বাজারে বিক্রয় করে পরিবারের উপার্জন বৃদ্ধি করেন। অন্যদিকে তার স্বামী এখন নিজের দোকানে আসবাবপত্র তৈরি বিক্রয় করে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশী উপার্জন করেন। বর্তমানে তার পরিবারে স্বচ্ছ্লতার সাথে সাথে এসেছে অনাবিল সুখ শান্তি। তিনি তার ঘরের সামনে তৈরি করেছেন ফুলের বাগান। যেখানে বিভিন্ন পাড়ার তরুণ-তরুণীরা ছবি তুলতে আসে, যা তাকে দেয় অনাবিল আনন্দ। একমাত্র সন্তান এখন স্কুলে পড়াশোনা করে ভালো ফলাফল করছে। পরিবারে এখন নেই কোন অভাব-অভিযোগ। প্রত্যেকটি দিন নতুনকে আহ্বান করে। সেই নতুন যখন স্বপ্নপূরণের হাতছানি দেয়, স্বপ্নকে করে তোলে বাস্তব। দিন বদলের গল্পে রিনা পারভীন সেই নতুন দিনের এক অনবদ্য প্রতিচ্ছবি।