• বিভাগঃ ঢাকা
  • জেলাঃ মাদারীপুর
  • উপজেলাঃ রাজৈর
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী

ঘর পাবার পূর্বের অবস্থা: ১৪-১৫ বছর পূর্বে দুচোখ ভরা স্বপ্ন আর বুকভরা আশা নিয়ে আন্না আক্তার নব বধূর সাজে ফরিদপুরের জাহিদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।জাহিদ পেশায় একজন ভ্যান/ রিক্সা চালক। জাহিদের স্থায়ী কোন ঠিকানা না থাকায় ভাগ্যের অন্বেষণে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হয় এবং থাকতে হয় ভাড়া বাসায়।স্বামীর আয়ে কোন রকম দিন কাটতো।ছোট ছেলের বয়স যখন ৭ মাস ,হঠাৎ করেই তার স্বামী মারা যায় তখন যেন তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে । তিনি দিশেহারা হয়ে ভাইদের কাছে আশ্রয় নেন।ভাইদের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় সেখানেও তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ছে ।আন্না আক্তারের ভাষায় “ভাই মাঝে মাঝে বলতো বাসা থাইকা বাইর হইয়া যা”।আন্না আক্তার ছেলে মেয়ে নিয়ে কোথায় যাবে এই ভেবে দিশেহারা সে যেন অথই সমুদ্রে পড়ে গেল ।একসময় তিনি বেকারী ফ্যাক্টরিতে কাজ নিলেন । ছেলে মেয়ে নিয়ে দুবেল দুমুঠো খেয়ে কোন রকম দিন কাটছিল আন্না আক্তারের । বেকারীতে কাজ করে যে সামান্য অর্থ উপার্জন করতো তার থেকে স্বল্প অর্থ জমিতে দুই ধাপে ৬ খান করে টিন কিনে মোট বার খান টিন দিয়ে রাস্তার পাশে খাস জমিতে ঘর তুলে ছেল মেয়ে নিয়ে সেখানেই আশ্রয় নেন।তার দিন কোন রকম চলে যাচ্ছিল ।বিধির কি নির্মম পরিহাস হঠাৎ এক কাল বৈশাখী ঝড়ে তার ঘর ভেঙে ফেলে তখন । হাতে টাকা নাথাকায় নতুন করে ঘর তোলা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। এমন সময় একদিন রাজৈর এর উপজেলা নির্বাহ অফিসার তাদের কলোনি পরিদর্শনে গিয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার হিসাবে ভূমিহীন আশ্রয়হীনদের জন্য জমি সহ ঘর প্রদান করছেন মতবিনিময়কালে সেই তথ্য সকলের মাঝে তুলে ধরেন।এর পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে অফিস থেকে সব প্রক্রিয়া শেষে ২ শতক জমিসহ একটি আধাপাকা ঘরের চাবি পান আন্না আক্তার।

# ঘর পাওয়ার পরের অবস্থা: রাজৈর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে ২ শতক জমিসহ একটি আধাপাকা বাড়ি আন্না আক্তার ও তার সন্তানদের দেখিয়েছে ভবিষ্যতের দিশা । নিজের নামে একটি বাড়ি তার মধ্যে এনে দিয়েছে স্বস্তি ও আত্মবিশ্বাস। এখন সে প্রতিদিন স্বস্তি নিয়ে কাজে যায়।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর পেয়ে
একসময়ের দিশাহারা আন্না আক্তার এখন তার সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যত নির্মাণের আশায় নিজে দিন রাত পরিশ্রমের পাশাপাশি তাদেরকে নিয়িমিত স্কুলে পাঠান।তিনি স্বপ্ন দেখেন তার সন্তান পড়ালেখা করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে দেশের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন “ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে ধন্যবাদ , তিনি আমাকে জমিসহ একটি ঘর দিয়া শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই দেয়নি আমার ছেলে মেয়ে কে ভবিষ্যতে আগাই যাওয়ার সাহস দিছেন । যা আমার একার পক্ষে কোনদিন সম্ভব ছিল না।”