জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০২ তম জন্ম বার্ষিকী পালন করতে জেলা প্রশাসক, মাদারীপুর ড. রহিমা খাতুন জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের খৈয়ারভাঙ্গায় স্থাপিত মুজিব পল্লীতে ছুটে যান। সেখানকার শিশুদের সাথে জাতির পিতার জন্মদিনের কেক কাটেন। অত:পর পল্লীতে বসবাসকারী বয়স্ক মহিলাদের অংশগ্রহণে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বৌ-চি খেলা উপভোগ করেন। একই সাথে পল্লীতে বসবাসকারী পুরুষদের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রণে আয়োজিত কাবাডি খেলা দেখেন।  বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এক সময়ের ছিন্নমূল ও অবহেলিত এ জংোষ্ঠির মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। সকাল থেকেই পল্লীর শিশু কিশোর, আবাল বৃদ্ধ বনিতাদের মাঝে উৎসবের সূচনা হয়। প্রতিটি শিশুসহ সকল নারীপুরুষ নতুন জামা কাপড় পড়ে সাজ সাজ অবস্থায় অপেক্ষা করতে থাকে কখন জাতির পিতার জন্মদিন পালন করবে? কখন কেক কাটবে?

 তাদের কোথাও কোন আশ্রয় ছিলো না। এখন এ মুজিবপল্লীই তাদের ঠিকানা। মুজিব যে তাদের অতি আপন মানুষের নাম। মুজিবের জন্মদিন তো তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। সে জন্যই সমস্বরে গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিতে থাকে- জয় বাংলা...জয় বঙ্গবন্ধু...শুভ শুভ শুভ দিন, শেখ মুজিবের জন্ম দিন...শেখ মুজিব চিরজীবী হোক। পরিশেষে সকল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। তার বক্তব্যে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করে উপস্থিত মুজিবপল্লী বাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকের এই বিশেষ আনন্দের দিনে বিভিন্ন খেলায় আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাকে পুলকিত করেছে। আমি বিশ্বাস করি আপনাদের আগ্রহ উদ্দীপনা আপনাদেরকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। আপনাদের উন্নতি হবেই। আপনারা আপনাদের সন্তানদের লেখপড়া করিয়ে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবেন। সবশেষে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মো: মাইনউদ্দিন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব সোহরাব হোসাইনসহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।