- বিভাগঃ খুলনা
- জেলাঃ নড়াইল
- উপজেলাঃ কালিয়া
- পৌরসভা/ইউনিয়নঃ খাসিয়াল
আমেনা বেগম (৩২), স্বামী: শিমুল মোল্যা পেশায় একজন রংমিস্ত্রি এবং তিনটি ছেলে । অর্থাভাবে বড় ছেলেকে পড়াশুনা করাতে পারেনি। বর্তমানে মেঝো ছেলে ৫ম শ্রেণীর ছাত্র, ছোট ছেলে ২য় শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। সামান্য দিনমজুরীর উপার্জনে পরিবার চালাতে খুব কষ্ট হতো। তিনি বলেন, নিজের বাবার কোন ভিটা-বাড়ি ছিল না। স্ত্রী আমেনা বেগম একজন গৃহিণী। সংসার ও ছেলেদের পড়ালেখার চিন্তাসহ সংসার চালানো তার উপর পাহাড়সম ভার মনে হতো। তার স্বামীর দিনমজুরের আয় দিয়ে অভাব অনটনের মধ্যে কোন রকম খেয়ে পড়ে দিন কাটত। বাড়ির মালিকের ভাড়া দিতে স্বামী যা আয় করত তার সিংহ ভাগ চলে যেত । ছেলেদের পড়াশুনা এবং সংসারের ব্যয় দিন দিন বাড়তে থাকায় দু:শ্চিন্তা আরো ভর করত। ভাড়া বাড়িতে থাকাকালীন ভাবতেন যদি নিজের বাড়ি থাকতো তাহলে একটু মাথা গোজার ঠাই থাকত আর ভাড়া গুনতে হতো না পরিবার নিয়ে একটু ভালভাবে চলতে পারতাম । কিন্তু আবার নিজের মনকে বোঝাতেন জমি কিনে ঘর করাওতো অনেক সময়ের ব্যাপার, আছে শুধু স্বপ্ন, দারিদ্রতা ও অসহায়ত্ব। গরীব-দু:খী আপামর জনতার জাতির পিতার জন্ম শতবর্ষ " মুজিব শতবর্ষে" বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশনেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন দু:খী মানুষদের স্বপ্ন পুরনের জন্য মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ২ শতক জমি ও সেমিপাকা ঘর উপহার দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উপহারে বদলে যায় আমেনা বেগমের জীবন। প্রধানমন্ত্রী শেখে হাসিনার দেওয়া উপহার ২ শতক জমি ও ঘর পেয়ে স্বপ্ন পুরনের খুশিতে ভাসছে তার পরিবার। আমেনা বেগম বলেন, তার ঘরের আঙ্গিনায় এখন গরু পালন করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে নিকটস্থ বাজারে গরুর দুধ বিক্রি করে আল্লাহর রহমতে খুব ভাল আছি আর তার স্বামী ও বড় ছেলে পূর্বের ন্যায় দিনমজুরী করেন । আমেনার পরিবার নিজের বাড়ি নিজের মতো রঙ্গিন করে সাজিয়ে নিয়েছে। আশ্রয়সহ সাবলম্বী হতে পেরে আমেনা বেগম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখে হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন এবং তিনি যেন দেশের গৃহহীন দু:খী মানুষের পাশে থাকে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।