• বিভাগঃ ঢাকা
  • জেলাঃ গাজীপুর
  • উপজেলাঃ কালীগঞ্জ
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ তুমুলিয়া

ছেলেটি প্রতিবন্ধী, কোন বোধশক্তি নেই। নাম তার হৃদয় রবিদাস। পরিবারের বড় সন্তান সে। ছোট আরও দুটি বোন ও একটিভাই রয়েছে, এদের বয়স পাঁচ থেকে বার এর ভেতর। প্রতিবন্ধী এই ছেলেটিসহ চার সন্তানদের দারুণভাবে দেখ-ভালের দায়িত্ব পালন করছেন মা রিনা রবিদাস।


অন্যদিকে সংসারে প্রত্যক্ষ আয়ের সাথে জড়িত ব্যক্তি বাবা সুরেশচন্দ্র রবিদাস পেশায় একজন মুচি। কালীগঞ্জ উপজেলা বাজারের বটতলায় দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত জুতা সেলাই করে যা আয় হয় তা দিয়েই সুন্দরভাবে সংসারের ভরণ-পোষণ হয়ে যায়। আর পুরো সকালটি এখন পরিবার ও প্রতিবেশীর সুখ-দুঃখে ব্যয় করতে পারছেন। 


কিন্তু সময়টা মোটেই সহজ ছিল না তাদের। বাবু সুরেশ ও তার স্ত্রী একটা সময় ভূমিহীন ও গৃহহীন ছিল। সেই সময়ে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বাবু সুরেশ মুচিগিরি করে যা উপার্জন করতো তার বড় অংশই চলে যেত বাড়ি ভাড়া মেটানোতে। ফলস্বরূপ অতিরিক্ত অর্থের চাহিদা মেটানোর জন্য বাধ্য হয়েই প্রতিবন্ধী ছেলেটিকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়তে হতো ভিক্ষাবৃত্তিতে। ঠিক এমনই দুঃসময়ে শেখ হাসিনার উপহার যেন তাদের জীবনে দীর্ঘ খরার মাঝে এক পশলা বৃষ্টি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ভাগ্য দেবতা যেন ফিরে তাকায় পরিবারটির দিকে। 


গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলাধীন তুমুলিয়া ইউনিয়নে দক্ষিণ রাজনগর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪২ নং ঘরে বসবাস করছে এই পরিবারটি। স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি ঘরের সাথে দুই শতাংশ জমিরও মালিক তারা। আজ তারা বাড়ি ভাড়ার খরচ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। শুধু তাই নয়, ঘরের আঙিনায় নানারকম শাক-সবজি আবাদ করে সংসারের দৈনন্দিন চাহিদাও মেটাচ্ছে আশ্রয়ণের এই ঘরের মাধ্যমে। এতে পরিবারটির সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়নও নিশ্চিত হয়েছে। এভাবে রিনা রবিদাস ও তার পরিবারের দিন বদলে গেছে।