• বিভাগঃ ঢাকা
  • জেলাঃ টাঙ্গাইল
  • উপজেলাঃ বাসাইল
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ বাসাইল পৌরসভা

টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলাধীন বাথুলী গ্রামের হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী নবীরন একই গ্রামের হতদরিদ্র ভূমিহীন ইউছব আলীর সাথে বিয়ে হয়। বর্তমানে নবীরন এর বয়স (৫০) বছর এবং ইউছব আলীর বয়স (৭৫) বছর। নবীরন এবং ইউছব আলীর ১ ছেলে বয়স (৪০) বছর (প্রায়) এবং ১ মেয়ে ছিল । নবীরন এবং ইউছব তাদের এক ছেলে এবং এক মেয়ে নিয়ে অন্যের বাড়ীতে আশ্রিত থাকতেন। সেখানে আশ্রয় দাতার বাড়ীতে এবং অন্যের বাড়ীতে ঝি এর কাজ করে খেয়ে না খেয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করতেন। অভাবের তাড়নায় তারছোট বাচ্চাকে ঠিকমত খাবার দিতে নাপারায় ছেলেটি প্রায়ই নানা অসুখে ভুগতো। এমনকি টাকার অভাবে অসুস্থ ছেলের চিকিৎসাও ঠিকমত করতে পারেননি। ফলে তাদের এক মেয়ে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার অভাবে মারা যান। বর্ণিত অবস্থায় নবীরন কখনো একটি ভালোঘরে বসবাস করার বা একটু স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করার স্বপ্ন দেখতেও সাহস পাননি।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার জননী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উপহার দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি পাকাঘর এবং সংযুক্ত রান্নাঘর ও বাথরুমসহ দুই শতক জমিতে নির্মিত একটি ঘর তাকে প্রদান করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৪,০০,০০০/- টাকা। উক্ত ঘর পেয়ে নবীরন এতটাই উচ্ছসিত যে, তাকে এখন আরঝড়, বৃষ্টি বা অন্য কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে শারিরীক বা মানসিক কোন কষ্ট করতে হবে না। এখন তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া ঘরে ছেলেসহ খুবই স্বাচ্ছন্দে বসবাস করছেন। তিনি উক্ত ঘরের চারদিকে নানা রকমের সবজী ও ফলের গাছ লাগিয়ে বাড়ীর পরিবেশকে যেমন সুন্দর করে তুলেছেন তেমনি নিজেও খাদ্যের দিক দিয়ে অনেকটা স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে ইউছব আলীর একছেলে একটি এনজিও থেকে ঋন নিয়ে একটি ভ্যান ক্রয় করে তাদের বৃদ্ধ বাবা এবং প্রতিবন্ধী মাকে নিয়ে বেশ ভালো ভাবে তার সংসার চালাচ্ছেন। ইউছব আলীর ছেলের একটি মেয়ে বর্তমানে প্রথম শ্রেণিতে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছেন। এখন তার মার্সিক আয় প্রায় ১২,০০০/- টাকা সামগ্রিক ভাবে এই পরিবারটি এখন অনেক স্বাবলম্বী।

 

উপকারভোগীর অনুভূতি:

আশ্রয়দাতা তাদের বাড়ী থেকে বের করে দেয়ার পর অসুস্থ বৃদ্ধ স্বামী, একমাত্র ছেলে ও ছেলের বউকে নিয়ে যখন চোখে অন্ধকার দেখছিলাম। অন্যের বাড়ীতে কাজ করে খেয়ে না খেয়ে জীবন অতিবাহিত করছিলাম ঠিক তখনি আমাদের মা শেখ হাসিনার উপহার দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘর পেয়ে এতটাই খুশি হয়েছি যে, প্রধান মন্ত্রীর জন্য সারা জীবন প্রাণ ভরে দোয়া করব। মহান আল্লাহতায়ালা তাঁকে নেকহায়াত দান করুক।এর চেয়ে বেশি কিছু বলার মতো ভাষা আমার নাই।