• বিভাগঃ ঢাকা
  • জেলাঃ গোপালগঞ্জ
  • উপজেলাঃ গোপালগঞ্জ সদর
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ লতিফপুর

নামজুন নাহার (২৭) ২০১০ সালের দিকে নিজের ইচ্ছায় পরিবারের অমতে ভালবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর বাবা, মা, ভাই, বোনসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে সম্পর্ক ছেদ হয়। যার ভরসায় কাছের মানুষের ভালোবাসা তুচ্ছ করে বাড়ী থেকে চলে আসেন বিয়ের পরে জানতে পারেন সেই স্বামী

মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। যা আয় করেন তাও খরচ করেন জুয়া খেলে। রক্ষণশীল সমাজের মেয়ে নাজমুন নাহার স্বামীকে মাদক হতে ফেরাতে নানা ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেন এবং মাদক সেবনে বাঁধা হয়ে দাড়ান। শুরু হয় স্বামী কর্তৃক নির্যাতন এবং যৌতুকের চাপ। স্বজন ত্যাগী নাজমুন নাহার অন্য কোন আশ্রয় না পেয়ে মুখ বুঝে সহ্য করেন স্বামীর অত্যাচার। এর মধ্যে জন্ম নেয় তার প্রথম সন্তান বনী আমিন। ভেবেছিলেন ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে সুপথে ফিরবেন স্বামী। সংসারে অশান্তি এবং আশেপাশের মানুষদের পরামর্শে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নাজমুন নাহার । কথা হয় এক দালাল চক্রের সাথে কিন্তু তারা যে নারী পাচারকারী জানতেন না নাজমুন নাহার। নারী পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত সীমান্তে আটক করে বিজিবি। তার পরে তাদের প্রশাসনের সহায়তায় তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। জাস্ট ইন কেয়ার নামে একটি সংস্থা এ খবর পেলে তাকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেন । পরে তিনি স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকার জন্য একটি জরাজীর্ণ ভাড়া বাড়িতে আশ্রয় নেন। জাস্ট ইন কেয়ার সংগঠন উপজেলা প্রশাসনের কাছে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষনিক ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ০৮নং লতিফপুর ইউনিয়নের পুরাতন মানিকদাহে নির্মিত ৬৫টি ঘরের একটিতে বসবাসের সুব্যবস্থা করে দেন। আশ্রয়হীনা নাজমুন নাহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পেয়েছেন আশ্রয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনবদ্য উদ্যেগে তার ঘরের পাশেই বসেছে টিউবওয়েল। জাস্ট  ইন কেয়ার সংস্থা থেকে পেয়েছেন সেলাই মেশিন যা দিয়ে তার বর্তমান জীবিকা নির্বাহ করছেন। স্বামী সন্তান নিয়ে সুখে বসবাস করছেন।