• বিভাগঃ ঢাকা
  • জেলাঃ গোপালগঞ্জ
  • উপজেলাঃ গোপালগঞ্জ সদর
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ পাইককান্দি

ঢাকার মিরপুরে এক ঝুঁপড়ি ঘরে থেকে  রিক্সা চালাতো দাউদ মিয়া। স্ত্রী তাছলিমা ২ বাসায় কাজ করে। একমাত্র মেয়ে জেসমিন। দশম শ্রেণীতে পড়ে। মেয়েটি ছোট বেলা থেকেই বেশ ভালো রেজাল্ট করছিল। যে বাসায় কাজ করে ঐ বাড়ির মালিক, মেয়েটির পড়ার আগ্রহ দেখে ভর্তি করিয়ে দেয় মিরপুর আইডিয়াল স্কুলে। একদিন মেয়েটির অস্বাভাবিক আচরণ ধরা পড়ে। অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে। বই-খাতা ছিড়ে ফেলে দেয়। শুরু হলো ডাক্তার- কবিরাজ। পাইককান্দি ইউনিয়নের ঘোড়াদাইড় গ্রামে থাকা ভিটাবাড়ি বিক্রি করে চিকিৎসা করালো। কিছুতেই কিছু হলোনা। দাউদ মিয়া মারা গেলেন। তাছলিমা অসুস্থ জেসমিন কে নিয়ে ফিরে এলো নিজ  গ্রামে। দেবরের ঘরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে থাকে। অন্যের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করে চলে সংসার। বয়স্ক মেয়ে নিয়ে অন্যের ঘরে থাকা আশংকা বাড়ায়। অন্যের বাড়ি কাজ করার সময় মেয়েটিকে এক জায়গা রেখে গেলে অন্যের অনিষ্ট করবে এই ভয় থাকে সব সময়। 


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণের পাকা ঘর পেয়েছে। কেমন আছে তারা। একদিন দেখতে যাওয়া। তাছলিমা ও তার মেয়ে নিজেদের ঘরে বসে কাঁথা সেলাই করছে। কাঁথা সেলাই করে সে বেশ ভালো আছে। একটা ছাগল কিনেছে ও ১টা গরু পালছে। জিজ্ঞাসা করলাম, কেমন আছেন? বললো বাবা বেশ ভালো আছি। এখন সংসার কীভাবে চলে প্রশ্ন করতেই বললেন, অন্যের বাসায় কাজ করি, অবসরে কাঁথা সেলাই করি। মেয়েটি পাগলামি কিছুটা কম করছে। পাশের মাঠে অনেক ঘাস। মেয়েটি গরু ও ছাগল চড়ায়। দেখলাম, ৩/৪টি ফলের গাছ লাগিয়েছে। চেহারায় হাসি হাসি ভাব। যে কেউ বুঝতে পারবে, তাছলিমা তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে বেশ ভালো আছে।