• বিভাগঃ রাজশাহী
  • জেলাঃ পাবনা
  • উপজেলাঃ ফরিদপুর
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ বনওয়ারীনগর

বদলে যাওয়ার গল্প

জেলাঃ পাবনা

উপজেলাঃ ফরিদপুর ও ইউনিয়ন : বনওয়ারীনগ

উপকারভোগীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নামঃ মুজিব শত বর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প।

 

 

 ১। উপকারভোগীর বর্ননাঃ (১) মোছা : পাতা বেগম, পিতা- নুরুল ইসলাম, বয়স: ৩৫ বছর ও মো: সানাউল ইসলাম, মো: মুসাই, বয়সঃ ৩৭ বছর, সাং- রুলদহ, খলিশাদহ, ফরিদপুর, পাবনা। তাদের ২ পুত্র সন্তান ও ২ কন্যা রয়েছে। ২ পুত্র বিবাহ যোগ্য ও কন্যারা পড়াশুনা করছে।  

২। উপকারভোগীর পূর্বের অবস্থা কেমন ছিলনঃ উপকারভোগীর অবস্থা পূর্বে খুব অসহায় ও সম্বলহীন, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ও ২ পুত্র সন্তান ও ২ কন্যা নিয়ে একই ওবদার বাধের জমিতে বসবাস করতেন। ছেলেরা বিবাহ যোগ্য। অনেক সময় তাদের না খেয়ে জীবন ধারন করতে হতো। তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আশ্রয়হীনভাবে জীবন ধারন করতো।

৩। উপকারভোগীকে বরাদ্দকৃত ২ শতাংশ জমির বর্তমান বাজার মূল্যঃ ১২,০০,০০০.০০ ( বার লক্ষ টাকা মাত্র )

৪। ঘর পেয়ে তিনি / তার পরিবার বর্তমানে কেমন আছেনঃ পূর্বে যেখানে তাদের মাথা গোজার ঠাই ছিল না। বর্তমানে তারা মুজিব শত বর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে খুবই স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করছেন। পাশাপাশি পরিবারের গৃহিনী হিসাবে কাজ করছেন, গৃহকর্তা দিনমজুর হিসাবে কাজ করেন। আমাদের সাথে ছেলেরাও ওয়ার্কশপে কাজ করছেন। তিনি ছাগল, হাস-মুরগী পালনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছে।  বর্তমানে তার মাসিক আয় ১০,০০০.০০ (দশ হাজার টাকা মাত্র )। ঘর পেয়ে এখন তিনি কেমন আছেন প্রশ্নে জানান    শারীরিক মানসিক দুই দিক থেকেই  তারা অনেক শান্তিতে আছেন। কিছুদিন আগেও রোদ বৃষ্টি ঝড় সহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় সহ অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে তারা জীবন যাপন করেছেন কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যেই তাদের পরিবারে অবস্থা হয়েছে অনেক সুন্দর ও সুদৃঢ়। এখন স্বপ্ন দেখেন আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের। তাদের ছেলেরা উপার্জন করছেন  তাদের জন্য আরো একটি ঘড় পাবার জন্য আবেদন করেন। ছোট মেয়েকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন । 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর পাওয়ার পর থেকে  আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া করেন এবং দোয়া করেন যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। এবং তাদের আশা তাদের মত যারা অসহায় ও দরিদ্র আছে সবাই কে যেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্রয় দিতে পারেন বাংলাদেশের কেউ গৃহহীন না থাকে।