- বিভাগঃ ময়মনসিংহ
- জেলাঃ ময়মনসিংহ
- উপজেলাঃ তারাকান্দা
১৬ বছর আগে পারভীন আক্তার এর প্রথম স্বামী ইসলাম উদ্দিন এক সন্তান রেখে মারা যান। পরবর্তী তে অসহায় পারভীন আক্তার ইসলাম উদ্দিন নামে আরেকজন কে বিয়ে করেন । সে সংসারে তিন সন্তান জন্ম নেয়। স্বামীর ভিটেমাটি না থাকায় পারভিন আক্তার ৪ সন্তান ও দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে প্রথম স্বামীর কবরের পাশে খাস জমিতে কুঁড়েঘর বেঁধে থাকতেন। কিন্তু প্রায়ই
স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উচ্ছেদের হুমকি দিত। ৪ সন্তান ও শারীরিকভাবে অসুস্থ্য স্বামী নিয়ে পারভিন আক্তার জীবনযুদ্ধে প্রায় পরাজিত সৈনিকের মতো লড়ে যাচ্ছিলেন। যে খাসজমিতে কোন রকম আশ্রয় নিয়েছিলেন সেটি সরকারি সম্পত্তি হওয়ায় সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকতেন। এর মধ্যে তার বর্তমান স্বামী ইসলাম উদ্দিন শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ায় পারভিন আক্তারের জীবন কঠিন থেকে কঠিনতর হতে থাকে।
মুজিববর্ষ
উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ২ শতাংশ
ভূমি সহ একটি টিনের সেমি পাকা ঘর পেয়েছেন ,
২ শতাংশ ভূমির বর্তমান বাজার মূল্য ১,২০,০০০/-
(এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা।
ঘর পেয়ে পারভিন আক্তার আবার ঘুরে দাঁড়ান। মেঝো ছেলের কাজ এর মজুরির টাকায় দুটো বাছুরসহ গাভী পালন শুরু করেন। এর সাথে যোগ হয় বাচ্চাসহ মুরগী পালন। ঘরের সামনে খোলা জায়গায় গোয়ালঘর আর মুরগীর জন্য ছোট্ট খোঁয়ার,বারান্দায় ঝুলছে কবুতর এর খোঁপ। বসে নেই পারভিন আক্তার এর স্বামী ও
,গাভী পালন ছাড়াও বারান্দার এক কোণে রয়েছে তার ঝুলন্ত দোকান, সারাদিনে সেখানে বিক্রি হয় বাচ্চাদের চিপ্স, খেলনা, চকোলেট। সেখানে দিনে ১০০/২০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। বড় দুই ছেলে কাজ করে আয় করা শুরু করে দিয়েছে। পারভীন আক্তার এর স্বপ্ন ঘরে স্বচ্ছলতা এনে ছোট দুটি বাচ্চাকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করা যা ঘর পাওয়ার আগে পারভিন আক্তারের জন্য ছিল আকাশ কুসুম কল্পনা। আর সেজন্যই যার কাছ
থেকে তিনি এ উপহার পেয়েছেন সেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।