• বিভাগঃ রাজশাহী
  • জেলাঃ পাবনা
  • উপজেলাঃ ফরিদপুর
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ বনওয়ারীনগর

 

মুজিব শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে খলিশাদহ  বসবাসরত পরিবারের বদলে যাওয়া গল্প

তানজিলা খাতুন (পিতা) আমজাদ হোসেন সাং উত্তর থানাপাড়া ফরিদপুর পাবনা। ফরিদপুর পৌরসভার  বাসিন্দা, স্বামী পরিতক্তা সামাজীক অবহেলায় জীবন জাপন করতেন। তার দ্বারা পরিবারের সদস্যদের ভরণ পোষণ করা সম্ভব হচ্ছিল না অভাব ঋণগ্রস্থ হয়ে মানবতার জীবন যাপন করতেন। জমা কিছুই ছিল না তার স্বল্প আয়ে দুবেলা দুমঠো ভাত জুটানো দুরুহ ছিলনা। নানান অত্যাচার ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন, প্রতিনিয়ত পরিবার জন্য নিরাপত্তা হীনতায় ভুগেছেন। এর মধ্যে ভাড়া বাসায় বিধবা মা ও তার এক মেয়ে নিয়ে অন্যর বাসায় বসবাস করতেন।  

 

ফরিদপুর উপজেলার শহরের নিকটবর্তী বনওয়ারী নগর ইউনিয়নের রাস্তার ধারে বরাদ্দকৃত জমির অবস্থান। বরাদ্দকৃত জমির প্রতি শতাংশের বাজার মূল্য ২0০০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা। সর্বমোট দুই শতাংশের বাজার মূল্য= 4০০০০০/- (চার লক্ষ) টাকা।

 

আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাওয়ার প্রায় একবছর পরে মাকে নিয়ে বসবাস করি ও নতুন ভাবে জিবন শুরু করি। পরিবারের উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। বর্তমানে বিয়ে করি। অর্থিক ভাবে সাবলম্বি হতে শুরু করি। স্বামী বাজারে দোকান করে। এখন স্বামী-স্ত্রী দুজনই আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ায় তাদের পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি বিরাজ করছে। শারীরিক মানসিক দুই দিক থেকেই তারা অনেক শান্তিতে আছেন। প্রতিবেশীদের লাঞ্ছনা সহ অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে তারা জীবন যাপন করেছেন কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যেই তাদের পরিবারে অবস্থা অনেক সুন্দর ও সুদৃঢ় হয়েছে। হাঁসমুরগি পালন, ৩টি ছাগল পালন করেন, স্বপ্ন দেখেন আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের। মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন পড়ালেখা শেষ করে ভালো একটা  চাকরি করবে।

 

এখন কেমন আছেন প্রশ্নে অশ্রুসজল চোখে তানজিলা খাতুন জানান যখন আর্থিক আভাবের তারনায় ১ম স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়। এখন অনেক সুখ শান্তিতে আছেন। তার মেয়ে জানান পূর্বের আবাসষ্থলে বিদ্যুৎ ছিল না এখন সব সময় বিদ্যুত থাকে, পড়ালেখা করতে কোন অসুবিধা হয় না। বই খাতা কিনে দিতে পারতেন না। এখন বাবা-মা দুজনই উপার্জন করে যার ফলে লেখাপড়ার উপকরণ পেতে তার কোন সমস্যা হয় না। বাবা মাকে আরো সুখ ও সমৃদ্ধির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার। পাড়া প্রতিবেশী তাদের অনেক ভালবাসেন এবং সম্মান দেয়। সামাজিক মর্যাদা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিার আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর পাওয়ার পর থেকে  জীবনযাত্রায় পরিবতন এসেছে, তারা এখন ইবাদত বন্দেগী করেন এবং আল্লাহর কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।