• বিভাগঃ ময়মনসিংহ
  • জেলাঃ ময়মনসিংহ
  • উপজেলাঃ ফুলপুর

       আজকের গল্পটি শুধু গল্প নয়, একটি পরিবারে বদলে যাওয়ার গল্প গল্প হতদরিদ্র অবস্থা থেকে পরিবর্তিত হয়ে সমাজের মুল স্রোতে মিশে যাওয়ার গল্প গল্পের মূল চরিত্র রহমত আলী বয়স-৫২ বছর, পিতা মৃত মামুদ আলী ছেলে, ১মেয়ে এবং স্ত্রী জেসমিন বেগমসহ অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন দিন মজুর হিসেবে অন্যের অধীনে কাজ করতেন কোনো রকমে সংসার চললেও নিজস্ব কোনো জমি বা ঘর না থাকায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটতো তার এর মধ্যে বড় মেয়েটি যখন অষ্টম শ্রেণীতে উঠে তখন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দূরে থাকায় তার লেখা পড়া বন্ধ করে দেয়া হয় প্রতিদিন কাজ না পাওয়ায় খাবারের যোগান দিতে কষ্ট হয়ে যেতো পরিবারসহ প্রায়ই অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে হত।

        মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ২ শতাংশ ভূমি সহ একটি টিনের সেমি পাকা ঘর পেয়েছেন ,  ২ শতাংশ ভূমির বর্তমান বাজার মূল্য ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ)  টাকা।

          দেশের মানুষ কখনো ভাবতে পারেনি যে পরিবারে দুমুঠো আহারের সংস্থান করতে কষ্ট হয়ে যায় সেই পরিবার শতক জমিসহ একটি আধা-পাকা ঘরের মালিক হবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে নগুয়া আশ্রয়ণে ঘর পেয়ে রহমত আলী এই স্বপ্ন পুরণসহ ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে নগুয়া আশ্রয়ণটিতে ঘরের সংখ্যা ৩৪ এই আশ্রয়ণেরই একটি ঘরের বাসিন্দা রহমত আলি তার প্রাপ্ত ভূমি বাজার মূল্য প্রায় লক্ষ টাকা বর্তমানে তিনি দিন মজুরের কাজ ছেড়ে নিজেই ব্যবসা করছেন একই সাথে আশ্রয়ণে প্রাপ্ত ঘরটির একটি কক্ষে ছোট দোকান দিয়েছেন রহমত আলী স্ত্রী জেসমিন এবং বড় মেয়ে সীমা দোকান কার্যক্রম পরিচালনায় তাকে সহায়তা করেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্যান্য উপকারভোগীরা মূলত দোকানের ক্রেতা ব্যবসার পাশাপাশি দোকান ঘরের আয়ের ফলে সংসারে বর্তমানে আয় দ্বিগুন হয়েছে ২০২১ সালে বড় মেয়েটিকে ফুলপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি করান বর্তমানে মেয়েটি নবম শ্রেণীতে পড়ছে এবং ছোট ছেলেটি আশ্রয়ণ সংলগ্ন ফুলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র পঞ্চমীর চাঁদ যখন ধরা দেয় আশ্রয়নের এই ঘরে তখন রহমত আলী ঘর ছেড়ে বের হয়ে আপন মনে ভাবে মেয়েটি একদিন ডাক্তার হবে এবং মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে।