• বিভাগঃ ময়মনসিংহ
  • জেলাঃ ময়মনসিংহ
  • উপজেলাঃ ফুলপুর

মিনারা বেগম বয়স ৩৮ বছর, পিতা-আমজত আলী, সন্তানঃ ছেলে

         এক ভাগ্য বিড়ম্বিত নারী মিনারা বেগম খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয় মিনারা বেগমের খড়িয়া নদীর তীরে দিনমজুর স্বামীসহ ঘর বাঁধেন প্রাচুর্য্য না থাকলেও স্বামী ৩ সন্তানসহ সুখেই ছিলেন কিন্তু বিয়ের ৭ বছরের মাথায় স্বামীকে হারান মিনারা বেগম এই শোকের সাথে যুক্ত হয় নদীভাঙ্গন, যার ফলে ঘর/জমি হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন ৩ টি সন্তান নিয়ে অন্যের জমিতে ভাঙ্গা একটি ঝুপড়ি ঘরে কোনো রকমে দিন কাটাতে থাকেন মিনারা বেগমের দিন শুরু হতো আজকের দিনটি কিভাবে যাবে এবং কি খাবেন দুশ্চিন্তা নিয়ে ছেলেদেরকে লেখাপড়া করানোর মতো স্বপ্ন দেখার সাহস পাননি ফলে বড় ছেলেটিকে একটি দোকানে কাজের জন্য পাঠিয়ে দেন এবং নিজে বাকী দুই ছেলে সন্তানসহ অন্যের বাড়িতে ছোট খাটো কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন  

 

       মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ২ শতাংশ ভূমি সহ একটি টিনের সেমি পাকা ঘর পেয়েছেন ,  ২ শতাংশ ভূমির বর্তমান বাজার মূল্য ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ)  টাকা।                      

       আশ্রয়ণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ফুলপুর উপজেলার ফুলপুর ইউনিয়নের বাঁশতলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২ শতক খাস জমিসহ ঘর পান তিনি ডেফোলিয়া বাজার সংলগ্ন আশ্রয়ণের ২ শতক জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় লক্ষ টাকা আশ্রয়ণ প্রকল্পের খালি জায়গায় তিনি বর্তমানে সবজি চাষ করছেন একই সাথে গরু পালন করছেন তিনি বর্তমানে একটি গরু ১০/১২টি হাঁসের মালিক তার বড় ছেলে বর্তমানে ডেফোলিয়া বাজারে একটি স্বনামধন্য বেকারিতে কাজ করছেন এবং ছোট ২টি ছেলে আশ্রয়ণ সংলগ্ন বাঁশতলা ব্রাক স্কুলে প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে পূর্বে সহায় সম্বলহীন বিধবা নারী মিনারা বেগম সমাজে অত্যন্ত অবহেলিত দুর্দশাগ্রস্ত ছিলেন, ছিলনা কোনো স্থায়ী ঠিকানা আশ্রয়নের ঘর সংলগ্ন জমিতে সবজি চাষ পশু পালন করে তিনি আজ স্বাবলম্বি তার চোখে এখন একটিই স্বপ্ন ছেলেদের পড়া-লেখা করে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবেন স্বপ্ন বুনছেন একদিন ছোট দুই ছেলে শিক্ষিত হয়ে সমাজকে আলোকিত করবে, মানুষের মত মানুষ হবে