• বিভাগঃ রাজশাহী
  • জেলাঃ পাবনা
  • উপজেলাঃ পাবনা সদর
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ হেমায়েতপুর

বদলে যাওয়ার গল্প-৪

জেলা: পাবনা 

থানা : পাবনা সদর।

ইউনিয়ন : হেমায়েতপুর।

গ্রাম:শানিকদিয়াড়।

উপকারভোগীর নাম :মো: মন্তাজ মোল্লা।

ফোন নং : ০১৩১৪-৫০২০৯৬.

বৃদ্ধ মন্তাজ মোল্লার কষ্টের জীবন:

মন্তাজ মোল্লা, বয়স ৭৫। স্ত্রী মোমেনা খাতুন প্যারালাইজড রোগী। পেশায় তিনি ভ্যান চালাতেন।সাত ছেলে এবং দুই মেয়ে। নিজের যতটুকু সম্পত্তি ছিল সেটা সাত ছেলে এবং দুই মেয়ে মিলে  মন্তাজ আলীকে ফাঁকি দিয়ে বিক্রি করে নেয়। মনতাজ আলী অসুস্থ স্ত্রী কে নিয়ে পথে পড়ে যান। এক ছেলে ভ্যান ও কেড়ে নেন। রাস্তায় অসুস্থ প্যারালাইজড স্ত্রীকে নিয়ে দিন যাপন করেন। আয়ের সকল  উৎস বন্ধ হয়ে যায়। একদিকে নিজের বয়সজনিত অসুস্থতা,অন্যদিকে অসুস্থ স্ত্রী। নিদারুণ দুঃখ এবং কষ্টে কাটতে থাকে মনতাজ আলী ও মোমেনা খাতুন এর জীবন।

আশ্রয়নের আশীর্বাদ:মনতাজ আলীর সন্ধান পেয়ে পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার খবর নেন এবং তাকে দেওয়া হয় আশ্রয়ন থেকে একটি ঘর। বৃদ্ধ বয়সে মনতাজ আলী একটি পাকা ঘর পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়েন। যেখানে নিজের সন্তানরা তাকে জায়গা দেয়নি, অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে ঘর দিয়েছেন। এটা ভাবতেই যেন তার কাছে মনে হয় অসম্ভব একটি বিষয়। বৃদ্ধ মনতাজ আলী নামাজে বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সবসময় দোয়া করেন। ঘর পেয়ে মানসিক শান্তি তে  অসুস্থ স্ত্রী এখন মোটামুটি অনেকটা ভালো। মনতাজ আলী ও পাশের জমিতে সবজি চাষ করে আয় রোজগার করছেন। দুটো ছাগল কিনেছেন এবং মুরগির একটি খামার দিয়েছেন। এভাবেই চলছে বৃদ্ধ মন্তাজ আলী এবং মোমেনা খাতুন এর সংসার। 

বদলে যাওয়া ছোট্ট সংসার:মনতাজ আলী এবং মোমেনা খাতুন,  দুজনের জীবনের কষ্টের সময়টা অনেক কঠিন ছিল। আশ্রয়ের ঘর পাওয়ার পরে মাথার উপর একটি ছাতা পেয়েছে। হাফ ছেড়ে বেঁচেছে বৃদ্ধ মন্তাজ আলী। জীবনের এই শেষ সময় এসে একটি পাকা ঘর ,রান্নাঘ্‌ বাথরুম পাওয়া তার জন্য মনে হয় যেন স্বপ্নের মত। নিজের সন্তানরা যেখানে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়েছিল ঠিক  একইভাবে তাকে আবার সবকিছু ফিরিয়ে দিয়েছেন মানবতার জননী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাঝে মাঝে মনে করেন সংসার বোধ হয় নতুন করে শুরু হয়েছে।স্ত্রী মোমেনা খাতুন  উঠানে বসে থাকে আর স্বামী পাশের জমিতে  সবজি চাষ করেন। দিনশেষে নিজে রান্না করে স্ত্রীকে খাওয়ান। এর চেয়ে সুখ তার কাছে আর কিছু নেই। জীবনের এই সুখকর বদল কে সে আশীর্বাদ মনে করে। আর সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রতি ওয়াক্তে নামাজ পড়ে দোয়া করেন।