• বিভাগঃ রাজশাহী
  • জেলাঃ পাবনা
  • উপজেলাঃ চাটমোহর
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ হরিপুর

বদলে যাওয়ার গল্প

জেলাঃ পাবনা

উপজেলাঃ চাটমোহর

 উপকারভোগী পূর্বে অবস্থা কেমন ছিলেনঃ

ভূমিহীন নাসির মিয়া ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন অন্যের বাড়িতে কাজ করে খেতেন।  নিজেদের মাথাগোঁজার কোন স্থায়ী ঠিকানা ছিল না। সরকারি খাস জায়গা কিংবা রেলের পাশে যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছেন সেখানেই ঝুপড়ি ঘর তুলে থেকেছেন। ছোট দুই ছেলেকে নিয়ে তাদের অনেক কষ্ট ছিল। সীমাহীন কষ্টের মধ্যে তারা দিন কাটাতেন।  তপ্ত রোদ কিংবা ঝড়-বৃষ্টিতে তাদের অস্থায়ী ঝুপড়ি ঘরকে আগলে রাখার জন্য সবসময় করতেন অনেক কষ্ট। প্রচণ্ড ঝড়ে অস্থায়ী ঘর  ভেঙ্গে গেলে তারা  খোলা আকাশের নিচেই রাত কাটাতেন। ছেলেদের কোন নিশ্চিত ভবিষ্যৎ ছিল না। এইজন্য সাবিনা ইয়াসমিন সবসময় মনোকষ্টে ভুগতেন এবং আল্লাহর দরবারে  প্রার্থনা করতেন আল্লাহ যাতে তাদের এই অবস্থা থেকে মুক্তি দেয়।


  উপকারভোগীকে বরাদ্দকৃত দুই শতাংশ জমির বর্তমান বাজার মূল্যঃ শতাংশ প্রতি প্রায় ৫০,০০০/- টাকা।


ঘর পেয়ে তিনি / তার পরিবার বর্তমানে কেমন আছেনঃ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর পাওয়ার ফলে ভূমিহীন নাসির মিয়া ও তার স্ত্রীকে আর অন্যের বাড়িতে থাকতে হয়না।  নিজেদের বাড়িতেই এখন তারা থাকেন।  দুই ছেলেকে স্কুলে দিয়েছেন। বড় ছেলে এখন পঞ্চম শ্রেণিতে ও ছোট ছেলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। নাসির মিয়া এখন একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করেন। তিনি প্রতিদিন প্রায় ৬০০-৭০০ টাকা আয় করেন। সংসারের খরচের পরেও তার কিছু সঞ্চয় থাকে। নাসির মিয়ার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এখন স্বপ্ন দেখেন তাঁর দুই ছেলেকে মানুষের মত মানুষ করার।