• বিভাগঃ রাজশাহী
  • জেলাঃ পাবনা
  • উপজেলাঃ চাটমোহর
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ হরিপুর

বদলে যাওয়ার গল্প

জেলাঃ পাবনা

উপজেলাঃ চাটমোহর


উপকারভোগী পূর্বে অবস্থা কেমন ছিলেনঃ

শাজাহান মিয়া একজন ক্ষুদ্র কৃষক। তিনি অন্যের জমি বর্গা দিয়ে খেত।  নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। স্ত্রী রেণুকা খাতুন কে নিয়ে অন্যের জায়গায় ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে থাকতেন। তিন সন্তান নিয়ে অন্যের জায়গায় ঝুপড়ি ঘরে থাকতে তাদের অনেক কষ্ট হতো। রেণুকা খাতুন জানান ঝড় বৃষ্টির সময় তারা সব সময় সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতেন। বৃষ্টির সময় তাদের ঘরে পানি পরতো। তপ্ত রোদে প্রচণ্ড গরমে তারা অনেক কষ্ট করতেন।  অনেক কষ্টে বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন। মেয়ের জামাইকে তার বাড়িতে আনতে পারতেন না।  এইজন্য  রেনুকা খাতুন সবসময় মানসিক কষ্টে থাকতেন।


  উপকারভোগীকে বরাদ্দকৃত দুই শতাংশ জমির বর্তমান বাজার মূল্যঃ শতাংশ প্রতি প্রায় ৫০,০০০/- টাকা।


ঘর পেয়ে তিনি / তার পরিবার বর্তমানে কেমন আছেনঃ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর পাওয়ার পরে শাজাহান মিয়ার অবস্থা এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তার স্ত্রী রেণুকা খাতুনের এখন আর মনোকষ্টে ভুক্তে হয় না।  তিনি তার মেয়ের জামাইকে বাড়িতে এনে আদর আপ্যায়ন করাতে পারেন।  কৃষি কাজ করা শাহজাহান মিয়া  দৈনিক তার ৪০০-৫০০ টাকার আয় থেকে কিছুটা সঞ্চয় ও করতে পারছেন। শাহজাহান মিয়া তার নিজের ও ছেলে মেয়েদের জন্য দোয়া চেয়েছেন। তার ছেলে সামনে বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। তার ছোট মেয়ে  ক্লাস এইটে পড়ে।  রেণুকা খাতুন অশ্রুসিক্ত চোখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া চেয়েছেন।  নিজেদের বসবাসের ব্যবস্থা হওয়ার ফলে সমাজে এখন তাদের একটা স্বীকৃত হয়েছে। এখন আর তারা ভূমিহীন নয়।