
- বিভাগঃ রাজশাহী
- জেলাঃ পাবনা
- উপজেলাঃ চাটমোহর
- পৌরসভা/ইউনিয়নঃ মুলগ্রাম
বদলে
যাওয়ার গল্প
জেলাঃ পাবনা
উপজেলাঃ চাটমোহর
উপকারভোগীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের নামঃ মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ - ২ প্রকল্প
উপকারভোগীর বর্ননাঃ
উপকারভোগীঃ নাম: মোঃ মমিন বিশ্বাস পিতাঃ মোঃ ওসমান বিশ্বাস শিক্ষাগত যোগ্যতা: পঞ্চম শ্রেণি বয়সঃ ৪৭ বছর পেশা: কৃষি কাজ মাসিক আয়ঃ ১০০০০ টাকা
|
উপকারভোগীর স্ত্রীঃ মোছাঃ রুমা খাতুন স্বামী মোঃ মোমিন
বিশ্বাস শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ তৃতীয়
শ্রেণী পেশাঃ গৃহিণী
|
উপকারভোগীর মেয়ে-১: নামঃ জান্নাতি পিতার নাম: মোঃ মমিন
বিশ্বাস শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
শিশু শ্রেণী
|
উপকারভোগীর মেয়ে-২: নামঃ চাদনী পিতার নাম: মোঃ মমিন
বিশ্বাস শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
পঞ্চম শ্রেণী বৈবাহিক অবস্থাঃ বিবাহিত |
উপকারভোগী পূর্বে অবস্থা কেমন
ছিলেনঃ
উপকারভোগী
মোঃ মমিন বিশ্বাস
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়ার পূর্বে প্রায় ১৫ বছর রেল লাইনের পাশের জায়গায়
ছাপড়া তুলে বসবাস করেছেন। রেললাইনের পাশের জায়গায় বসবাস কালে সব সময় ভয়ে থাকতেন কখন
সেই জায়গা ছেড়ে দিতে হয় যার ফলে সব সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঝড় বৃষ্টি কিংবা যেকোনো
প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাতেন। বৃষ্টি হলে তাদের ছাপড়া দিয়ে পানি
পড়তো আর রাতে বৃষ্টি হলে সারা রাত জেগে থাকতেন। এছাড়া মোঃ মমিন বিশ্বাস অন্যের জমিতে কৃষিকাজ করে খুব বেশি আয় করতে পারতেন না। পরিবারে আর্থিক কষ্ট,
মেয়ের বিয়ে সবকিছু মিলে তাদের পরিবারে এক ধরনের মানসিক কষ্ট ছিল। অপুষ্টি ও অবহেলায়
মানসিকভাবেও ছিলেন বিপর্যস্ত।
উপকারভোগীকে বরাদ্দকৃত দুই শতাংশ জমির বর্তমান বাজার
মূল্যঃ শতাংশ প্রতি প্রায়
৮৫০০০/- টাকা।
ঘর পেয়ে তিনি / তার পরিবার বর্তমানে
কেমন আছেনঃ
আশ্রয়ণ
প্রকল্পের ঘর পাওয়ার প্রায় একবছর পরে মোঃ মমিন বিশ্বাসের পরিবারের উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
বর্তমানে মোঃ মমিন বিশ্বাস কৃষিকাজ করে
দৈনিক প্রায় ৩৫০-৪০০ টাকা আয় করেন। পরিবারে কিছুটা সচ্ছলতা আসায় তাদের পরিবারে সুখ
ও সমৃদ্ধি বিরাজ করছে। শারীরিক মানসিক দুই দিক থেকেই তারা অনেক শান্তিতে আছেন। কিছুদিন আগেও রোদ বৃষ্টি
ঝড় সহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় সহ অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে তারা জীবন যাপন করেছেন কিন্তু
মাত্র এক বছরের মধ্যেই তাদের পরিবারে অবস্থা হয়েছে অনেক সুন্দর ও সুদৃঢ়। মোঃ মমিন বিশ্বাস এর স্ত্রী
মোছাঃ রুমা খাতুন এখন স্বপ্ন
দেখেন আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের। তাদের বড় মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়েছেন এখন
নিজস্ব বাসস্থান পাওয়ার ফলে
স্বপ্ন দেখেন তার ছোট মেয়েকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার। একমাত্র মেয়ে ও মেয়ের জামাই
এখন মোঃ মমিন বিশ্বাস এর বাড়িতে আসলে পূর্বের ন্যায় অবহেলার পাত্র হতে
হয় না তারা এখন অনেক আদর যত্নে মেয়ের জামাইকে আপ্যায়ন করতে পারেন।
মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর পাওয়ার পর থেকে মোঃ মমিন বিশ্বাস ও তার স্ত্রী আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া
করেন এবং দোয়া করেন যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। এবং তাদের আশা তাদের মত যারা অসহায় ও দরিদ্র
আছে সবাই কে যেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্রয় দিতে পারেন বাংলাদেশের কেউ গৃহহীন
না থাকে।