• বিভাগঃ ঢাকা
  • জেলাঃ গোপালগঞ্জ
  • উপজেলাঃ কোটালীপাড়া
১। উপকারভোগীর নাম: সালমা বেগম
     স্বামী: জুয়েল কাজী (ঘর নং ১৭)  

     সন্তান : ২ জন। 

 ২। আশ্রয়ণে পুনর্বাসনের পূর্বের অবস্থা: মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘর ও জমি পাওয়ার পূর্বে ঢাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তার নিজের বসবাসের জন্য কোন জায়গা ও ঘর ছিল না। তার স্বামী ঢাকায় রিক্সা চালাতেন। যা আয় করতেন তা দিয়ে বাসা ভাড়া দিয়ে ০৩ জনের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। পিতার কোন জায়গা জমি নেই। তার পিতাও ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করেন। জায়গা-জমি কেনার মত কোন আর্থিক সংগতি না থাকায় ঢাকা শহওে রিক্সা চালিয়ে এবং  শ্রমিকের কাজ করে খৃবই কষ্টেজীবন যাপন করতেন।

৩। আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাধ্যমে প্রাপ্ত  ঘরের  জমিসহ  বাজার  মূল্য :  ৫,০০,০০০/- টাকা

৪। আশ্রয়ণে পুনর্বাসনের পরে বর্তমান অবস্থা: মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘর ও জমি পওয়ার পর তােেদর ঢাকায় থাকতে হয় এবং বাসা ভাড়া দিতে হয় না। এখন তারা নিজের ঘরে থাকেন।  সারাজীবনের জন্য আবাস স্থলের একটা স্থায়ী সমাধান হয়েছে। এতে সালমা বেগমের পরিবার অত্যন্ত খুশি। তার স্বামী জুয়েল কাজী আয়-রোজগার করে এবং গ্রামীন সংস্থা থেকে লেঅন নিয়ে একটি নছিমন গাড়ী কিনেছেন। নছিমন গাড়ী দিয়ে তার দিনে ৪০০-৫০০/- টাকা আয় হয়। তাদের মাসে ৮,০০০-১০,০০০/- টাকা আয় হয়। এল ফলে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। সালমা জেলা প্রশাসনের নির্দেশনাক্রমে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত¡াবধানে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফাস্ট কনসান্স এনজিও থেকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ফলে তিনি মাফলার, চাঁদর, তোয়ালে ও রুমাল ইত্যাদি ঘরে বসেই তৈরী করছেন। তিনি তার ঘরের আঙিনায় পেঁপে গাছ ও অন্যান্য ফলের গাছ রোপন করেছেন। অন্যান্য কাজের সাথে সালমা বেগম কবুতর ও হাস-মুরগী পালন করে বাড়তি আয় করেন। বাংলাদেশ ইয়ূথ ফাস্ট কনসান্স উৎপাদিত পণ্য মার্কেটিং পার্টনার হিসেবে দেশ-বিদেশে বিক্রয় করে লভ্যাংশ প্রদান করছেন। তারা সন্তান-সন্ততির চাহিদা মিটিয়ে অর্থ সঞ্চয় করছেন। সঞ্চিত আয় দ্বারা ভবিষ্যতে একটি মাইক্রো গাড়ী কেনার ইচ্ছা রয়েছে। আশ্রয়ণে আশ্রয় পওয়ায় তাদের তাদের জীবনমান উন্নীত হয়েছে এবং সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।