• বিভাগঃ ঢাকা
  • জেলাঃ গোপালগঞ্জ
  • উপজেলাঃ কোটালীপাড়া

১। উপকারভোগীর নাম: সাবিহা খানম

     স্বামী: সাকিব হাওলাদার (ঘর নং ২৩)  

 সন্তান : ২ জন। 


 ২। আশ্রয়ণে পুনর্বাসনের পূর্বের অবস্থা: মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘর ও জমি পাওয়ার পূর্বে সন্তানসহ ঘাঘর ব্রীজের ঢালে একটি ছাপড়া ঘর তুলে কোনমতে বসবাস করতেন। তার নিজের বসবাসের জন্য কোন জায়গা ও ঘর ছিল না। তার স্বামী অন্যের ভ্যান চুক্তিতে ভাড়া নিয়ে চালাতেন যা আয় করতেন তা দিয়ে ০৪ জনের খাওয়ার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। ভাবতেন কোনদিন তার নিজের যদি একটা মাথা গোজার একটা ঠাই হতো, একটি ঘর পেতেন তবে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারতেন। 


৩। আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাধ্যমে প্রাপ্ত  ঘরের  জমিসহ  বাজার  মূল্য :  ৫,০০,০০০/- টাকা


৪। আশ্রয়ণে পুনর্বাসনের পরে বর্তমান অবস্থা: মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘর ও জমি পওয়ার পর তাকে রাস্তার পাশে থাকতে হয় না। ফলে খাওয়ার ও থাকার একটা স্থায়ী সমাধান হয়েছে। এতে সাবিহা খানমের পরিবার অত্যন্ত খুশি। তার স্বামী সাকিব হাওলাদার একটি ভ্যান কিনেছেন। ভ্যান গাড়ী দিয়ে তার দিনে ৩০০-৪০০/- টাকা আয় হয়। তাদের মাসে ৭,০০০-৮,০০০/- টাকা আয় করেন। এল ফলে তাদের সংসারে সচ্ছলতা এসেছে। এছাড়া সাবিহা খানম জেলা প্রশাসনের নির্দেশনাক্রমে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত¡াবধানে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফাস্ট কনসান্স এনজিও থেকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ফলে তিনি মাফলার, চাঁদর, তোয়ালে ও রুমাল ইত্যাদি ঘরে বসেই তৈরী করছেন। তিনি তার ঘরের আঙিনায় পেঁপে গাছ ও অন্যান্য ফলের গাছ রোপন করেছেন। অন্যান্য কাজের সাথে সাবিহা খানম কবুতর ও হাস-মুরগী পালন করে বাড়তি আয় করেন। বাংলাদেশ ইয়ূথ ফাস্ট কনসান্স উৎপাদিত পণ্য মার্কেটিং পার্টনার হিসেবে দেশ-বিদেশে বিক্রয় করে লভ্যাংশ প্রদান করছেন। এছাড়াও তারা কবুতর, হাঁস-মুরগী পান করেন। এই দম্পতির মাসিক আয় প্রায় ৭,০০০-৮,০০০/- টাকা। তার সন্তান-সন্ততির চাহিদা মিটিয়ে অর্থ সঞ্চয় করছেন। সঞ্চিত আয় দ্বারা তাদের ভ্যান-রিক্সার গ্যারেজ ও দোকান করার স্বপ্ন রয়েছে। আশ্রয়ণে আশ্রয় পওয়ায় তাদের তাদের জীবনমান উন্নীত হয়েছে এবং সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।