• বিভাগঃ ঢাকা
  • জেলাঃ গোপালগঞ্জ
  • উপজেলাঃ কোটালীপাড়া

  ১।  উপকারভোগীর নাম: মোঃ আলামিন হোসেন বাদশা  (মোবাইল নম্বর: ০১৬০০০০১৫৯৩)        

       স্ত্রী:  আখি বেগম (ঘর নং ২৭)  

       সন্তান : ২ জন, একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। 


 ২। আশ্রয়ণে পুনর্বাসনের পূর্বের অবস্থা: গ্রামের বাড়ীতে থাকার মতো কোন ঘর কিংবা জমি ছিলনা। ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং মাসিক বেতনে অন্যের প্রাইভেট গাড়ী চালাতেন। মাসে ৬০০০/- টাকা বেতন পেতেন। তা দিয়ে বাসা ভাড়া করে কোন মতে জীবন যাপন করতেন। সংসারের ব্যয় মিটানোর পরে টাকা জমানোর কোন সুযোগ ছিল না।

৩। আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাধ্যমে প্রাপ্ত  ঘরের  জমিসহ  বাজার  মূল্য : ৫,০০,০০০/- টাকা

৪। আশ্রয়ণে পুনর্বাসনের পরে বর্তমান অবস্থা: ঘর পাওয়ার পর তিনি অত্যান্ত ভালো আছেন। তিনি কোটালীপাড়া উপজেলায় মাইক্রো গাড়ী চালান। মাসে ৯,০০০-১০,০০০/- টাকা আয় করেন। একটি ছেলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।  এছাড়াও তার স্ত্রী জেলা প্রশাসনের নির্দেশনাক্রমে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত¡াবধানে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফাস্ট কনসান্স এনজিও থেকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ফলে তিনি মাফলার, চাঁদর, তোয়ালে ও রুমাল ইত্যাদি ঘরে বসেই তৈরী করছেন। বাংলাদেশ ইয়ূথ ফাস্ট কনসান্স উৎপাদিত পণ্য মার্কেটিং পাটনার হিসেবে দেশ-বিদেশে বিক্রয় করে লভ্যাংশ প্রদান করছেন । এভাবে বাড়তি আয়ের মাধ্যমে ভাল আছেন। এখন তাদের বাসা ভাড়া দিতে হয় না। আয় থেকে টাকা জমিয়ে তা দিয়ে নিজে একটি গাড়ী কিনে আর্থিক সফলতা আনার স্বপ্ন দেখেন। সে তার ঘরের সামনে বিভিন্ন প্রকারের ফলজ গাছ রোপন করেছেন। ঘর পাওয়ার পর তারা আগের চেয়ে অনেক ভাল আছেন। ছেলেকে স্কুলে পাঠিয়ে লেখা পড়া শিখাচ্ছেন।