• বিভাগঃ ঢাকা
  • জেলাঃ গোপালগঞ্জ
  • উপজেলাঃ কোটালীপাড়া
১। উপকারভোগীর নাম: তাসলিমা বেগম(মোবাইল নম্বর: ০১৯৫৬৮৩৩১৮২)

পিং  জামাল শেখ  (ঘর নং ১৯)

সন্তান : ২ জন।

 

 ২। আশ্রয়ণে পুনর্বাসনের পূর্বের অবস্থা: মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘর ও জমি পাওয়ার পূর্বেঅন্যের বাড়ীতে ভাড়া থাকতো। তার নিজের বসবাসের জন্য কোন জায়গা বা ঘর ছিল না, সামাজিক মর্যাদা বলতে কিছুই ছিল না। প্রায়শই অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হতো। নিজের কোন বাড়ী-ঘর না থাকায় দেশে আসতে পারতো না। ঢাকায় বাসায় বাসায় ঝিয়ের কাজ করতো। স্বামী অন্যের সিএনজি গাড়ী ভাড়ায় চালাতো। মাসে ৪,০০০-৫,০০০/- টাকা আয় হতো।স্বামী শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় প্রায়ই কাজ করতে পারতো না।গাড়ী দুর্ঘটনায় তার অনেক ক্ষতি হয় এবং তার চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ হয়। সে জন্য তারা ঋণি হয়ে পড়ে। খুবই কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করতে হয়।

 

৩। আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাধ্যমে প্রাপ্ত  ঘরের  জমিসহ  বাজার  মূল্য : ৫,০০,০০০/- টাকা

 

৪। আশ্রয়ণে পুনর্বাসনের পরে বর্তমান অবস্থা: ঘর পাওয়ার পর তিনি অত্যান্ত ভালো আছেন। বর্তমানে তার স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে এবং তার ঘর ভাড়া দেয়া লাগে না। তিনি বর্তমানে ঘাঘর বাজারের পাশে বাসা বাড়িতে কাজ করেন এবং স্বামী একটি ভাড়া ভ্যানগাড়ী চালায়। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নির্দেশনাক্রমে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত¡াবধানে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফাস্ট কনসার্ন্সএনজিও থেকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ফলে তিনি মাফলার, চাঁদর, তোয়ালে ও রুমাল ইত্যাদি ঘরে বসেই তৈরী করছেন। বাংলাদেশ ইয়ূথ ফাস্ট কনসার্ন্সউৎপাদিত পণ্য মার্কেটিং পাটনার হিসেবে দেশ-বিদেশে বিক্রয় করে লভ্যাংশ প্রদান করছেন। দুজনে মিলে মাসে ৮০০০-৯০০০/- টাকা আয় করে। সে তার ঘরের সামনে ফলজ বৃক্ষ রোপন করেছেন। ঘর পাওয়ার পর তিনি আগের চেয়ে অনেক ভাল আছেন।ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে লেখা পড়া শিখাচ্ছেন। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ প্রদান করেন।