• বিভাগঃ ঢাকা
  • জেলাঃ গোপালগঞ্জ
  • উপজেলাঃ কোটালীপাড়া
১। উপকারভোগীর নাম:  খালেদা বেগম  (মোবাইল নম্বর:০১৯৮৪৬৩১৪৪৫)

        স্বামী: অহিদুল শেখ (ঘর নং ১৮)

সন্তান : ২ জন।
 
 ২। আশ্রয়ণে পুনর্বাসনের পূর্বের অবস্থা: উপকারভোগী একজন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘর ও জমি পাওয়ার পূর্বে অন্যের বাড়ীতে থাকতেন। তার নিজের বসবাসের জন্য কোন জায়গা বা ঘর ছিল না। প্রায়শই অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হতো।

 ৩। আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাধ্যমে প্রাপ্ত  ঘরের  জমিসহ  বাজার  মূল্য :  ৫,০০,০০০/- টাকা

 ৪। আশ্রয়ণে পুনর্বাসনের পরে বর্তমান অবস্থা: মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘর ও জমি পাওয়ার পরে সংস্থার নিকট হতে লোন করে একটি ভ্যান ক্রয় করে স্বামীকে দিয়েছেন। এছাড়া নিজে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনাক্রমে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত¡াবধানে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফাস্ট কনসার্ন্স এনজিও থেকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ফলে তিনি মাফলার, চাঁদর, তোয়ালে ও রুমাল ইত্যাদি ঘরে বসেই তৈরী করছেন। বাংলাদেশ ইয়ূথ ফাস্ট কনসার্ন্সউৎপাদিত পণ্য মার্কেটিং পার্টনার হিসেবে দেশ-বিদেশে বিক্রয় করে লভ্যাংশ প্রদান করছেন। এখানে দেয়া প্রশিক্ষণে সে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ শিখে প্রশিক্ষণে প্রথম হয়েছেন। সঞ্চয় করে টাকা জমিয়ে পুজি সংগ্রহ করে নিজেই হাতের কাজের তৈরী পোষাকের কাঁচামাল সংগ্রহ করেন এবংপোষাক তৈরী করে দোকান দেয়ার ইচ্ছা আছে বলে জানান। বর্তমানে স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে এবং সে কোটালীপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ঝাড়–দারের কাজ পেয়েছে। সেখানে মাসে ৭,০০০/- টাকা পায়। বর্তমাসে তাদের গড় মাসিক আয়১০,০০০-১২,০০০/- টাকা। এর ফলে তাদের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন হয়েছে এবং সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তার ঘরের সামনে ফলজ বৃক্ষ যেমন-পেঁপে ও পেয়ারা গাছ রোপন করেছেন। ঘর পাওয়ার পর তারা আগের চেয়ে অনেক ভাল আছেন।ঘর দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ প্রদান করেন।