
- বিভাগঃ ঢাকা
- জেলাঃ গোপালগঞ্জ
- উপজেলাঃ কোটালীপাড়া
- পৌরসভা/ইউনিয়নঃ কোটালীপাড়া পৌরসভা
পিতা: ছত্তার হাওলাদার (ঘর নং ১৪)
সন্তান : ২ জন।
২। আশ্রয়ণে পুনর্বাসনের পূর্বের অবস্থা: মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘর ও জমি পাওয়ার পূর্বে অন্যের বাড়ী ভাড়া থাকতেন। তার নিজের বসবাসের জন্য কোন জায়গা বা ঘর ছিল না। চুক্তিভিত্তিক অন্যের একটি ভ্যান গাড়ী চালিয়ে সংসার চালাতেন। সঞ্চয় তো দুরের কথা বাসা ভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন ছিল। মানুষের নিকট থেকে লোন করে সংসারের খরচ জোগাড় করতে হতো। দিন আনি দিন খাওয়ার মত দিন যাপন করতে হতো।
৩। আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাধ্যমে প্রাপ্ত ঘরের জমিসহ বাজার মূল্য : ৫,০০,০০০/- টাকা
৪।আশ্রয়ণে পুনর্বাসনের পরে বর্তমান অবস্থা: ঘর পাওয়ার পর তিনি অত্যন্ত ভালো আছেন। গ্রামীন সমিতি নামক একটি বেসরকারি সংস্থা হতে লোন নিয়ে নিজে একটি ভ্যান গাড়ী ক্রয় করে চালান। তা থেকে প্রাপ্ত আয়ের টাকা দিয়ে লোনের কিস্তি পরিশোধ করছেন। এছাড়া তার স্ত্রী জেলা প্রশাসনের নির্দেশনাক্রমে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত¡াবধানে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফাস্ট কনসার্ন্সএনজিও থেকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ফলে তিনি মাফলার, চাঁদর, তোয়ালে ও রুমাল ইত্যাদি ঘরে বসেই তৈরী করছেন। বাংলাদেশ ইয়ূথ ফাস্ট কনসার্ন্স উৎপাদিত পণ্য মার্কেটিং পার্টনার হিসেবে দেশ-বিদেশে বিক্রয় করে লভ্যাংশ প্রদান করছেন। পাশাপাশি টাকা জমিেেয় থ্রিপিস ও কাটা কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছেন। বর্তমানে এই দম্পতির আয় ৮,০০০-১০০০০/- টাকা।তার সন্তান-সন্ততির চাহিদা মিটিয়ে অর্থ সঞ্চয় করছেন। এর ফলে তাদের জীবনমান উন্নীত হয়েছে এবং সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আরো সঞ্চয় করে পুজি বাড়িয়ে একটি কাপড়ের দোকান দেয়ার ইচ্ছা আছে বলে জানান।