
- বিভাগঃ ঢাকা
- জেলাঃ গোপালগঞ্জ
- উপজেলাঃ কোটালীপাড়া
- পৌরসভা/ইউনিয়নঃ কোটালীপাড়া পৌরসভা
মোহাম্মদ হোসেন হাওলাদার, পিতা-মৃত আব্দুল সাত্তার হাওলাদার, স্ত্রীঃ সুমাইয়া বেগম, মেয়েহাফসা খানম ৯ বছর মাদ্রাসায় পড়ে ছেলে আমির হামজা ৭ বছর মাদ্রাসায় পড়ে। পূর্বের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ছিল। অন্যের জমিতে পলিথিন ও হোগলার খুপড়ি ঘরে থাকতো। স্ত্রী প্রতিবন্ধী চলাফেরা করতে পারতো না। আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করাতে পারতো না। স্বামী দিনমজুরি করে যা আয় হতো তা দিয়ে দুবেলা খাবার খেতে পারত না। বর্তমানে ২ শতাংশ জমির বাজার মূল্য আনুমানিক ২ লক্ষ টাকা। ঘর ও জায়গা পাওয়ার পরে স্ত্রী সুমাইয়া বেগমের অনুভূতি, ঘরের ভিতরে বাথরুম থাকায় তার কষ্ট লাঘব হয়েছে। কারো সাহায্য ছাড়া সে বাথরুমে যেতে পারে। সে নিজে হস্তশিল্পের কাজ শিখে প্রতিমাসে গড়ে ৫,০০০/- টাকা এবং তার স্বামী একটি মোটরসাইকেল ভাড়া চালায়। যা থেকে গড়ে ৯-১০ হাজার টাকা মাসে আয় হয়। দুজন মিলে মাসিক আয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। সে জীবনে চিন্তা করতে পারে নাই যে পঙ্গু মানুষ হয়ে সংসারের জন্য আয় করতে পারবে। এক সময়ে তার মাসিক আয় দুই থেকে তিন হাজার টাকা ছিল এবং মানবতার জীবন যাপন তখন করতো। বর্তমানে তার ঘরে অনেক আসবাবপত্র আছে । ঘরের পাশে আম, পেয়ারা, বিভিন্ন জাতের ফুলের চাষ করেছেন। এখন তাদের জীবন যাপনের মান অনেক উন্নত হয়েছে। যার জন্য সম্পূর্ণ কৃতিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার। তিনি দোয়া করেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেন দীর্ঘদিন বেঁচে থাকেন, আজীবন প্রধানমন্ত্রী থাকেন এবং মানুষের সেবা করতে পারেন। তিনি ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছেন তার স্বপ্নের ঠিকানায়।