• বিভাগঃ রাজশাহী
  • জেলাঃ পাবনা
  • উপজেলাঃ সুজানগর
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ আহম্মদপুর

সোমবার, দুপুর ৪.৩০ মিনিট; চারিদিকে কিছু মানুষের জটলা; জটলার মাঝে একজন বৃদ্ধা গরম গরম পিয়াজু তৈরি করছে। আরেকজন কাস্টমারদের নিকট সেই গরম পিয়াজু ছোট ছোট প্লেটে পরিবেশন করছে এবং একইসাথে পেয়াজুর দাম গ্রহণ করছে। বলছি আহম্মদপুর নতুন বাজারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘর পাওয়া মোঃ ওমর ফারুক এবং মোছাঃ ফরিদা খাতুন এর কথা। বয়সে বৃদ্ধ হলেও নিজেরা মিলে বুদ্ধি করে ঘরের সম্মুখে তৈরি করেছে রান্নার চুলা এবং প্রতি হাটবারে তারা তৈরি করে পিয়াজু, সিঙ্গারা, আলুর চপ সহ আরো কিছু খাবার। একদম পারিবারিক আদলে পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে স্বল্পমূল্যে তৈরি করে এসকল খাবার। খাবারের মানও যেমন ভালো, স্বাদও নাকি বেশ, বললেন সোহেল নামক একজন গ্রাহক।

ওমর ফারুক,

কত টাকার বিক্রয় হয় জিজ্ঞেস করতেই মুখে প্রশস্ত হাসি দিয়ে উত্তর দিলেন শ’পাঁচেক তো হয়ই; নইলে কি আর সংসার চলে?

এই বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা দম্পত্তি ও পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘর। তাদের সংসারে নাই কোন অভাব। যা আয় হয়, তাতে ‍দিন চলে যায়। উপরন্তু তার নিজস্ব একটা বাজারের পাশে ২শতক জমির উপর ঘর রয়েছে। এই জমির আনুমানিক মূল্যে প্রায় ৬ লাখ টাকা। তারা শুধু খেয়ে দেয়ে শেষ করেনা সঞ্চয়ও করে। তাদের ইচ্ছে, রাস্তার পাশে জমি ও ঘর হওয়ায় ধূলাবালি পড়ে তাই টাকা জমিয়ে টিন কিনে ঘরের চারপাশ টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখবে, আর বাড়ির উপরের ব্যবসাটা হাটে নিয়ে গিয়ে করবে। কারণ হাটও অনেক নিকটে। তারা এখন স্বাবলম্বি ও সফল একটি দম্পত্তি। এই ঘর পাওয়াই তাদের যে ঘরহীন ও জমিহীন পরিচয় তা শেষ হয়েছে।

তাই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষকরে এ দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক দোয়া করেছেন।