• বিভাগঃ রাজশাহী
  • জেলাঃ পাবনা
  • উপজেলাঃ আটঘরিয়া
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ দেবোত্তর
মোছা. ছকিনা খাতুন, বয়স ৫২ বছর, স্বামী-মৃত আনোয়ারুল প্রাং, .গ্রাম: পাটেশ্বর, উপজেলা: আটঘরিয়া, জেলা: পাবনা ৫ পুত্র ও ৩ কন্যা নিয়ে অর্থাহারে অনাহারে স্বামী মারা যাওয়ার পর অন্যের জমিতে আশ্রিত।

ছকিনা খাতুন, তিনি বর্তমানে পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের পাটেশ্বর আশ্রয়ন-২ প্রকল্পে বসবাস করেন। ছকিনা খাতুনের তার জীবনের গল্প জানতে চাইলে তিনি প্রথমেই অশ্রুসিক্ত চোখে কান্না করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ২ শতক জমিসহ ২ রুম বিশিষ্ট সেমিপাকা গৃহ উপহার পাওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন— প্রায় ১০ বছর আগে আমার স্বামী মারা যান। তিনি মারা যাবার সময় আমার ঘরে ৫ ছেলে ও ৩ মেয়ে রেখে যান। আমার স্বামীর কোন নিজস্ব জায়গা জমি ছিল না। আমরা স্বপরিবারে অন্যের জমিতে বসবাস করতাম। প্রতিনিয়ত আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতাম যে, আল্লাহ তুমি আমাদের স্থায়ীভাবে বসবাসের একটা ব্যবস্থা করে দাও। মনে মনে ভাবতাম মনে হয় এটা একটা দুঃস্বপ্ন, জীবনের একটা ঘর করতে পারবেন, জমি কেনা তো দূরের কথা, কারণ আমার স্বামী যে রোজগার করতো তা নিয়ে ৫ ছেলে ও ৩ মেয়ে সহ সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যেতো। ঝড় বৃষ্টির দিনে তার ঠোঁটের কোণে থাকতো। বৃষ্টি এলে টিনের চালা দিয়ে পানি আসতো ঘরের মধ্যে। এর মধ্যে যখন আমার স্বামী মারা যায়, তখন মনে হলো আমার উপর যে বটগাছ ছিল তাও হারিয়ে গেলো। কিছুদিন যাবার পর জমির মালিক আমাদের ঘর ভেঙে দুরে কোথাও চলে যেতে বলে। তখন এতগুলো সন্তান নিয়ে কোথায় যাবো কোথায় থাকবো তা ভেবে দুশ্চিন্তায় পরে যাই। পরবর্তীতে পাটেশ্বর নদীর ধারে ১ টি ছাপরা ঘর তুলে কোনোমতে বসবাস করতে থাকি।