• বিভাগঃ রাজশাহী
  • জেলাঃ পাবনা
  • উপজেলাঃ সুজানগর
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ সাতবাড়ীয়া

“জীবনের কত পরিবর্তন! ২ বছর আগেও আমি ছিলাম নিঃস্ব এবং যাযাবর, আর আজ আমার পরিপূর্ণ সংসার”

এই কথায় বলছিলেন দোকানদার বাবুল মিয়া।

মিয়ার ৪ জনের সংসার। বউ বাড়িতেই সন্তানদের সাথে থাকে আর সে মাঠে কামলা দেয়। কোন রকমে সংসার চললেও চাচার বাড়িতে থাকতে তার একদম মন চায়না। কারণ চাচী সব সময়ই গালমন্দ বলতেই থাকতো। তাই রাগ করে একদিন চলে এসে পলিথিন দিয়ে ঘর উঠালেন ক্যানালের ধারে। কিন্তু ঝড় বৃষ্টিতে খুব কষ্ট করতে হতো তাদের। ছোট ছোট ২টি ছেলে মেয়ে তাদের ৩ বেলা খাওয়াতে কষ্ট হতো বাবুল মিয়ার। সেখানে যদি রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর জায়গা তৈরি করে দিতে না পারে তাহলে কিসের বাবা? এই কষ্ট তাকে প্রতিটা মুহূর্ত পোড়াতো। তারপর হঠাৎ করে মাইকিং এর মাধ্যেমে জানতে পারলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের মতো ভূমিহীন ও গৃহহীন  মানুষকে ঘর দিবেন। আবেদন করলো ইউনিয়ন পরিষদে। যাচাই বাছাই করে নামটি টিকে গেল। তারপরই পেয়ে গেল স্বপ্নের একটি বাড়ি ও ২ শতক জমির কাগজপত্র। বাড়ি  পাওয়ার পর বাবুল মিয়া এই প্রকল্পে ২২ টি ঘরের ২২ টি পরিবারের মানুষদের জন্য বিভিন্ন জিনিসপত্র, খাদ্য ও নিত্য প্রয়েজনীয় জিনিসপত্রের জন্য তৈরি করলো একটি দোকান। দোকানে বিস্কিট, চানাচুর, লজেন্স, পাউরুটি যেমন রয়েছে বাচ্চাদের জন্য; তেমনি বড়দের জন্য রয়েছে, চা, পান।  এছাড়াও রয়েছে চাল, ডাল, চিনি তেলসহ অনান্য জিনিসপত্র।

প্রতিদিন কত টাকার মালামাল বিক্রয় হয়? লাভেই বা কত থাকে, জানতে চাইলে হাসতে হাসতে বাবুল মিয়া বলেন, প্রতিদিন অন্তত ৫০০ টকা করে লাভ থাকে। এই হাসি দিনকে দিন আরও বেশী প্রশস্ত হোক।

বাবুল মিয়ার এই স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্পে।