• বিভাগঃ রাজশাহী
  • জেলাঃ পাবনা
  • উপজেলাঃ সুজানগর
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ ভায়না

আমেনা খাতুনের বয়স কত হবে? খুব বেশী হলে ৪০; কিন্তু দেখলে মনে হবে ষাটোর্ধ্ব একজন বৃদ্ধা। চোখ কোটরের মধ্যে ঢুকে গেছে। রোগা শরীর, কতই না রোগ শোকে বাসা বেঁধেছে তার তাও ঠাহর করা মুশকিল বৈকি।

আর কতই বা সহ্য করবে শরীর। বিয়ে হয়েছিল সেই কবে তারপর স্বামী দিনমজুরের কাজ করত, আর আমেনা করতো পরের বাড়িতে কাজ কিন্তু থাকার জায়গা ছিলনা। থাকতে হতো পরের জমিতে একটু টিনের চালা দিয়ে। তারপর একদিন মারা গেল স্বামীটা। বিধবা হয়ে পৃথিবী আরও শূন্য হয়ে গেল আমেনার। কিভাবে চলবে তার এই পেট।  ‍শুধু এই পেটের ক্ষুধার জন্য তার পরের বাড়িতে কাজ করা। দিন শেষে শুধুই তার প্রাপ্তি ০৩ বেলা খাবার। নাই কোন নিজের জমিন, নাই কোন ঘর। এরই মধ্যে আমেনা খাতুন জানতে পারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাদের জমি-ঘর নাই তাদের জন্য জমিসহ ঘর দিবে। “চেয়ারম্যান সাহেব, এসিল্যান্ড ও ইউ এন ও আমারে প্রধানমন্ত্রীর ঘর দিছে। এখন এই ঘরেই থাকি আর কিছু ঋণ নিয়া হাঁস, মুরগী আর ১টি ছাগল কিনছি” এমনটিই বলছিলেন আমিনা খাতুন। আমিনা খাতুন এখন আর পরের বাড়িতে কাজ করে না। ঋণের টাকায় যে হাঁস কেনা হয়েছিল, সেই হাঁসগুলো এখন ডিম পাড়ে। মুরগীও ডিম দেয়। শিম, শাক ও লাউয়ের চাষ করে নিজেরও খাওয়া হয় আবার ডিম, লাউ, শিম, সবজি বিক্রি করে টাকাও আসে। আমেনা খাতুনের একলা সংসার কেটে যাচ্ছে ভালোই। আমেনার কাছে প্রধানমন্ত্রী তার মা। তার মা তাকে আজ এত ভালো পাকা বাড়ি জমিসহ দেওয়ায়, প্রতিদিন নামাজে দোয়া করেন।

আজ আমেনা খাতুন স্বাবলম্বি একজন মানুষ। যার আছে আত্ম-পরিচয় এবং আত্ম-সম্মান।