• বিভাগঃ ময়মনসিংহ
  • জেলাঃ ময়মনসিংহ
  • উপজেলাঃ ফুলবাড়ীয়া
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ নাওগাঁও

১। উপকার ভোগীর বর্ণনা  (নাম/বয়স/স্বামী/সন্তানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা) নামঃ মোছাঃ রহিমা খাতুন (৪৫), স্বামী-মিরাজ আলী, গ্রাম-সন্তোষপুর, সন্তানঃ-৪(চার) ছেলে।

২। উপকারভোগী পূর্বের অবস্থায় কেমন ছিলেনঃ মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২ শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর পাওয়ার আগে উপকারভোগী কেমন ছিলেন তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ রহিমা খাতুন তার পিতা মাতার ৩য় সন্তান। সন্তোষপুর গ্রামে স্বামী মিরাজ আলীর সহিত তার বিবাহত হয়। রহিমা খাতুন মিরাজ আলীর ২য় স্ত্রী। তাদের বিবাহত জীবনে ৪ টি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। ছোট ছোট ৪ টি সন্তান রেখে স্বামী মিরাজ আলী মৃত্যুবরণ করেন। রহিমা খাতুনের স্বামীর নিজস্ব ভিটে বাড়ি ছিল না।  স্বামীর মৃত্যুর পর ছোট ছোট ৪ টি সন্তান নিয়ে রহিমা খাতুন অন্যের বাড়িতে বসবাস করত। রহিমা খাতুন অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালাত। রহিমা খাতুনের পরিবারে অনবরত অশান্তি লেগেই থাকত। সুখ বলে কিছুই ছিল না তার পরিবারে।

৩। উপকারভোগীকে বরাদ্দকৃত ২ শতাংশ জমির বর্তমান মূল্য আনুমানিক ১৫০০০০ (দেড় লক্ষ) টাকা।

৪। ঘর পেয়ে তিনি/তাঁর পরিবার কেমন আছেনঃ মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে ঘর দিবে জেনে রহিমা খাতুন ঘরের জন্য আবেদন করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় তার আবেদন যাচাই বাচাই প্রক্রিয়া শেষে ২(দুই) শতাংশ জমিসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর প্রথম পর্যায়ে পায়।

“ক” শ্রেণির ঘর পাবার পর রহিমা খাতুন তার ছেলেসহ নতুন ঘরে বসবাস শুরু করে। ঘর পাবার পর মাথা গোযার ঠাঁই হওয়ায় সে যেন নতুন করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়। রহিমা খাতুনের চার ছেলের মধ্যে বড় ছেলে অটো রিকসা চালায়। ২য়, ৩য় ও ৪র্থ ছেলেরা অটো ভ্যান গাড়ি চালায়।

এক বছর পর রহিমার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার ছেলেদের আয় দিয়ে রহিমা খাতুন একটি এল ই ডি টিভি কিনেছে। সে সহ তার পরিবারের লোকেরা টিভিতে বিভিন্ন উন্নয়ন ও বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান দেখে থাকে। তাছাড়া রহিমা খাতুন মাসিক কিস্তিতে একটি ফ্রিজ ও কিনেছে। তার ছেলেরা মায়ের সাথে পরামর্শ করে আয়কৃত টাকা দিয়ে একটি গরু কিনে লালন-পালন করছে। রহিমা খাতুনের সংসারে এখন আর অভাব নেই।