• বিভাগঃ বরিশাল
  • জেলাঃ ঝালকাঠি
  • উপজেলাঃ কাঠালিয়া
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ চেঁচরীরামপুর

নাম                                            : নিপা রানী মন্ডল

বয়স                                           : ৩৫ বৎসর

স্বামী                                          : লিটন চন্দ্র সমদ্দার (৩৬)

সন্তান সংখ্যা                                 : ২ জন  (১ ছেলে ও ১ মেয়ে)

মোবাইল                                      : ০১৯১৪-৪৭৫৩০৯

 

নিপা রানী মন্ডল (৩৫), জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর : ৭৭৯০৮৭৪২৪৭, স্বামী : লিটন চন্দ্র সমদ্দার , গ্রাম :  দক্ষিণ চেঁচরী, ডাকঘর : কৈখালী বাজার, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি ২ টি সন্তানের  জনক। (১) সঞ্জিতা (১৪),  (২) পার্থ সমদ্দার (৩)।

 

২.         উপকারভোগী পূর্বের অবস্থায় কেমন ছিলেন : মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২ শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর পাওয়ার আগে উপকারভোগী কেমন ছিল তার সংক্ষিপ্ত  বর্ণনা :

নিপা রানী মন্ডল (৩৫), স্বামী : লিটন চন্দ্র সমদ্দার, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি এর নিজস্ব কোন  জমি ও ঘর নাই। সে ঢাকার একটি গার্মেন্টস এ শ্রমিকের কাজ করতেন এবং স্বামী রাজ মিস্ত্রীর কাজ করে যে টাকা উপার্জন করতেন তা দিয়ে বাসা ভাড়া ও ৪ সদস্যের পরিবার নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করতেন। তার দুই সন্তান (১) সঞ্জিতা (১৪ ব:) অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী, (২) পার্থ সমদ্দার (৩ ব:) নিয়ে ৪ সদস্য বিশিষ্ট পরিবার নিয়ে অতি কষ্টে ঢাকা শহরে মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করতেন। 

 

৩.         উপকারভোগীকে বরাদ্দকৃত ২ শতাংশ জমির বর্তমান বাজার মূল্য :

উপকারভোগী নিপা রানী মন্ডল (৩৫) ও লিটন চন্দ্র সমদ্দার দম্পতিকে দক্ষিন চেঁচরী মৌজায় দক্ষিণ চেঁচরী (জোড়াপুল) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে ২ শতাংশ খাস জমি বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে তার বর্তমান মূল্য প্রায় -১,৫০,০০০/ (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা।

 

৪.         ঘর পেয়ে তিনি/তাঁর পরিবার বর্তমানে যেমন আছেন :

নিপা রানী মন্ডল এর কোন জমি-জমা ঘরবাড়ি না থাকায় সে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে শ্রমিকের কাজ করতেন এবং  করতেন এবং স্বামী লিটন চন্দ্র সমদ্দার দৈনিক ভিত্তিতে রাজ মিস্ত্রীর সহযোগী হিসেবে কাজ করে যে টাকা উপার্জন করতেন তা দিয়ে থাকা-খাওয়া এবং সন্তানদের লেখা-পড়া, পোষাক-পরিচ্ছদ, চিকিৎসাসহ সকল বিষয়ে সর্বদা অভাব অনটনসহ পরিবারের কারো চাহিদা পূরণ করতে পারতো না বরং সংসারে সর্বদা অশান্তি লেগেই থাকতো। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সরকারি খাস জমিতে ২ শতাংশ জমিসহ গৃহ প্রাপ্তির পর পূর্বের ভাসমান অবস্থায় থাকার সকল কষ্ট ভুলে শান্তির পরশ পেতে শুরু করেছেন। বর্তমানে সে নিজে একটি চায়ের দোকান চালায় এবং দোকানে প্রতিদিন গড়ে ৭০০-৮০০ টাকা বেচা-কেনা করে, গৃহের সামনে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির আবাদ করে থাকেন। স্বামী দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করে আর্থিক ভাবে অনেকটা স্বাবলম্বী হয়েছে। তার আর্থিক স্বচ্ছলতা পূর্বের তুলনায় বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্তানের লেখা-পড়া করাতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না এবং পরিবারের সকলের চাহিদা পূরণ করার পরেও ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয়ে সক্ষম হয়েছে। নিজের একটি সুন্দর গৃহ প্রাপ্তিসহ আর্থিক ও সামাজিক দিক দিয়ে  নিপা রানী মন্ডল ও লিটন চন্দ্র সমদ্দার দম্পতি সুখি ও স্বাবলম্বী।