• বিভাগঃ বরিশাল
  • জেলাঃ ঝালকাঠি
  • উপজেলাঃ কাঠালিয়া
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ চেঁচরীরামপুর

জেলা                                            : ঝালকাঠি

উপজেলা                                        : কাঠালিয়া 

উপকারভোগীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নাম     : মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার “আশ্রয়ন-২  প্রকল্প” (৩য় পর্যায়)

 

১.          উপকারভোগীর বর্ণনা            :

নাম                                            : বিলকিস

বয়স                                           : ৩৫ বৎসর

স্বামী                                          : মোঃ ছালাম (৪৫)

সন্তান সংখ্যা                                 : ১ জন  (মেয়ে)

মোবাইল                                      : ০১৩০১০১৭৪০৬

 

 

বিলকিস (৩৫), জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর : ২৬৯৪৮১৩৮৮৮৮৯৭, স্বামী : মোঃ ছালাম,  গ্রাম : দক্ষিণ চেঁচরী,  ডাকঘর : কৈখালী বাজার, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি  ০১ (এক) কন্যা সন্তানের জনক। তাদের মেয়ে মোসা: সাবিনা বেগম (১৯)।

 

২.         উপকারভোগী পূর্বের অবস্থায় কেমন ছিলেন : মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২ শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর পাওয়ার আগে উপকারভোগী কেমন ছিল তার সংক্ষিপ্ত  বর্ণনা :

 

বিলকিস (৩৫), স্বামী : মোঃ ছালাম, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি এর নিজস্ব কোন  জমি ও ঘর নাই। বরিশাল শহরে ছোট্ট একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে অতি কষ্টে দিন যাপন করতেন। স্বামী : রিক্সা চালিয়ে সামান্য রোজগার করতেন এবং বিলকিস অন্যের বাসার কাঁথা সেলাই করে যৎসামান্য উপার্জন করত তা দিয়ে কোন মতে দিনাতিপাত করতেন। ,তাদের একমাত্র কন্যা সন্তান মোসা ঃ সাবিনা বেগম (১৯) কে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর পর অর্থাভাবে লেখাপাড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং পরে তাকে বিয়ে দিয়ে দেন।  

 

৩.         উপকারভোগীকে বরাদ্দকৃত ২ শতাংশ জমির বর্তমান বাজার মূল্য :

 

উপকারভোগী বিলকিস (৩৫) ও মোঃ ছালাম দম্পতিকে দক্ষিন চেঁচরী মৌজায় দক্ষিণ চেঁচরী (জোড়াপুল) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে ২ শতাংশ খাস জমি বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে তার বর্তমান মূল্য প্রায় -১,৫০,০০০/(এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা।

 

৪.         ঘর পেয়ে তিনি/তাঁর পরিবার বর্তমানে যেমন আছেন :

বিলকিস এর কোন জমি-জমা, ঘরবাড়ি না থাকায় অন্যের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বাস করতেন এবং সে নিজে কাঁথা সেলাইয়ের মাধ্যমে ও স্বামী রিক্সা চালিয়ে যে টাকা উপার্জন করতেন তা দিয়ে বরিশাল শহরে বাসা ভাড়াসহ, থাকা-খাওয়া এবং সন্তানের লেখা-পড়া, পোষাক-পরিচ্ছদ, চিকিৎসাসহ সকল বিষয়ে অশান্তির মধ্যে দিন যাপন করতেন। সন্তানসহ পরিবারের কারো চাহিদা পুরণ করতে পারত না বিধায় সংসারে সর্বদা অভাব অনটন লেগেই থাকতো। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সরকারি খাস জমিতে ২ শতাংশ জমিসহ গৃহ প্রাপ্তির পর তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় এবং সুখের মুখ দেখতে শুরু করে এবং সংসারে ফিরে আসে শান্তি । বর্তমানে সে নিজে  আশ্রয়ণ-২ থেকে প্রাপ্ত ঘর সংলগ্ন চায়ের দোকান (রসনা বিলাস) চালায় যার মাধ্যমে সে দৈনিক ১০০০-১২০০ টাকা বেচা-কেনা করে, এবং স্বামী মোঃ ছালাম দৈনিক ভিত্তিতে অন্যের কাজ করে সংসারে অর্থ উপার্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। বিলকিস আর গৃহের আঙ্গিনায় বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির চাষ করেন। বর্তমানে তার আর্থিক স্বচ্ছলতা পূর্বের তুলনায় বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি সুন্দর গৃহ প্রাপ্তির পরে বিলকিস ও মোঃ ছালাম এর আর্থিক ও সামাজিক দিক দিয়ে  সুখি এবং স্বাবলম্বী।