• বিভাগঃ বরিশাল
  • জেলাঃ ঝালকাঠি
  • উপজেলাঃ কাঠালিয়া
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ কাঠালিয়া

জেলা                                            : ঝালকাঠি

উপজেলা                                       : কাঠালিয়া 

উপকারভোগীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নাম     : মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার “আশ্রয়ন-২  প্রকল্প” (২য় পর্যায়)

 

১.          উপকারভোগীর বর্ণনা            :

নাম                                            : মোঃ রিন্টু হাওলাদার 

বয়স                                           : ৩৩ বৎসর

স্ত্রী                                             : মোসা : জাহানারা বেগম

সন্তান সংখ্যা                                 : ৩ জন  (২ ছেলে, ১মেয়ে)

মোবাইল                                     : ০১৯৫২-৬৯৩৬২৭

 

মোঃ রিন্টু হাওলাদার (৩৩), পিতা : মোঃ আলতাফ হাওলাদার , স্ত্রী : মোসা : জাহানারা বেগম, গ্রাম : দক্ষিণ আউরা, ডাকঘর : কাঠালিয়া, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি ৩ (তিন) সন্তানের জনক। মোঃ নবীন হাওলাদার (১৬),  মোসা : লামিয়া আক্তার (১৩), মোঃ রাহাত হাওলাদার (৯)।

 

 

২.         উপকারভোগী পূর্বের অবস্থায় কেমন ছিলেন : মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২ শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর পাওয়ার আগে উপকারভোগী কেমন ছিল তার সংক্ষিপ্ত  বর্ণনা :

 

মোঃ রিন্টু হাওলাদার (৩৩), পিতা : মো ঃ আলতাফ হাওলাদার, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি এর নিজস্ব কোন  জমি ও ঘর নাই। একটি স্ব-মিলে হেলপারের কাজ করে ৫ সদস্যের সংসারে কষ্টে দিনাতিপাত করতেন।

অন্যের  ছোট  একটি বাড়িতে অতি কষ্টে দিন যাপন করতেন। তার তিন সন্তান (১) মোঃ নবীন হাওলাদার (১৬), কাঠালিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণি,  (২) মোসা : লামিয়া আক্তার (১৩) ৬ষ্ঠ শ্রেণি ও (৩) মো ঃ রাহাত হাওলাদার (৯), কাঠালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।  মোঃ রিন্টু হাওলাদার পরিবার পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে দিন যাপন করতেন।

 

 

৩.         উপকারভোগীকে বরাদ্দকৃত ২ শতাংশ জমির বর্তমান বাজার মূল্য :

 

উপকারভোগী মোঃ রিন্টু হাওলাদার (৩২) ও মোসা : জাহানারা বেগম (২৭) দম্পতিকে আউরা মৌজায় দক্ষিণ আউরা গ্রামে ২ শতাংশ খাস জমি বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে তার বর্তমান মূল্য প্রায় ৫,০০,০০০/ (পাঁচ লক্ষ) টাকা।

 

৪.         ঘর পেয়ে তিনি/তাঁর পরিবার বর্তমানে যেমন আছেন :

মোঃ রিন্টু হাওলাদারের কোন জমি-জমা ঘরবাড়ি না থাকায় অন্যের বাড়িতে বাস করতেন এবং স্ব-মিলে হেলপারের কাজ করে যে টাকা উপার্জন করতেন তা দিয়ে থাকা-খাওয়া এবং সন্তানদের লেখা-পড়া, পোষাক-পরিচ্ছদ, চিকিৎসাসহ সকল বিষয়ে সর্বদা অভাব অনটনসহ পরিবারের কারো চাহিদা সে পুরণ করতে পারতো না বরং সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সরকারি খাস জমিতে ২ শতাংশ জমিসহ গৃহ প্রাপ্তির পর তার সংসারে শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করেছে।  বর্তমানে সে নিজে স্ব-মিলে কাজ করে এবং পরের জমিতে কৃষি কাজ করে আর্থিক দিয়ে অনেকটা স্বাবলম্বী হয়েছে। এ ছাড়া তার স্ত্রীর মোসা : জাহানারা বেগম ছোট্ট একটি চায়ের দোকান দিয়ে সংসারে অর্থ উপার্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে তার আর্থিক দিয়ে স্বচ্ছলতা পূর্বের তুলনায় বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি সুন্দর গৃহ প্রাপ্তির পরে মোঃ রিন্টু হাওলাদার ও মোসা: জাহানারা বেগম তাদের সন্তানদের নিয়ে আর্থিক ও সামাজিক দিক দিয়ে  সুখি ও স্বাবলম্বী।