
- বিভাগঃ বরিশাল
- জেলাঃ ঝালকাঠি
- উপজেলাঃ কাঠালিয়া
- পৌরসভা/ইউনিয়নঃ কাঠালিয়া
জেলা :
ঝালকাঠি
উপজেলা : কাঠালিয়া
উপকারভোগীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নাম : মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার “আশ্রয়ন-২ প্রকল্প” (২য় পর্যায়)
১. উপকারভোগীর
বর্ণনা :
নাম :
মোঃ লিটন সিকদার
বয়স :
৪৫ বৎসর
স্ত্রী :
মোসা : নাসিমা আক্তার (৩৬)
সন্তান সংখ্যা :
৪ জন (মেয়ে)
মোবাইল : ০১৯৩৯-৬০৪৮৩০
মোঃ লিটন সিকদার (৪৫), পিতা : মৃত হাবিব
সিকদার , স্ত্রী : মোসা : নাসিমা আক্তার (৩৬), গ্রাম : বড় কাঠালিয়া, ডাকঘর : কাঠালিয়া,
কাঠালিয়া, ঝালকাঠি চার মেয়ে সন্তানের জনক। হিরা আক্তার (২৩), সুইটি আক্তার (১৯), মোসা : রুকাইয়া আক্তার (৯) ও
মোসা : আয়শা সিদ্দিকা (৩ব. ৭মাস)।
২. উপকারভোগী
পূর্বের অবস্থায় কেমন ছিলেন : মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২ শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর পাওয়ার আগে
উপকারভোগী কেমন ছিল তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
:
মোঃ লিটন সিকদার এর বসবাসের জন্য নিজস্ব
কোন জমি বা গৃহ না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকায় থাকতেন এবং রিক্সা চালিয়ে যা কিছু
উপার্জন করতেন তা দিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করতেন।
২০১৪ সনে নিজের জন্মস্থান কাঠালিয়া আসেন
এবং অন্যের একটি ছোট বাড়িতে অতি কষ্টে দিন যাপন করতেন। সংসার পরিচালনার জন্য নদীতে
মাছ ধরতেন এবং মাঝে মাঝে রিক্সা চালিয়ে সামান্য আয় করতেন। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন, মেজ মেয়ে কাঠালিয়া সরকারি তফাজ্জল হোসেন (মানিক
মিয়া) কলেজের দ্বাদশ ও সেজ মেয়ে মোসা : রুকাইয়া আক্তার (৮), কাঠালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতেন।
৩. উপকারভোগীকে
বরাদ্দকৃত ২ শতাংশ জমির বর্তমান বাজার মূল্য :
উপকারভোগী মোঃ লিটন সিকদার (৪৪)কে আউরা
মৌজায় দক্ষিণ আউরা গ্রামে ২ শতাংশ খাস জমি বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে তার বর্তমান মূল্য
প্রায় ৫,০০,০০০/ (পাঁচ লক্ষ) টাকা।
৪. ঘর
পেয়ে তিনি/তাঁর পরিবার বর্তমানে যেমন আছেন :
২০১৪ সনে ঢাকা থেকে নিজ উপজেলা কাঠালিয়ায়
আসার পর অন্যের বাড়িতে থেকে এবং কোন উপায় না পেয়ে নদীতে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত হয়।
এতে সন্তানদের লেখা-পড়া, চিকিৎসা, ভরনপোষণসহ জীবনধারণ কষ্টকর হয়ে পরে। নদীতে যখন মাছ
পাওয়া যেতনা তখন রিক্সা চালাতেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে
সরকারি খাস জমিতে ২ শতাংশ জমিসহ গৃহ প্রাপ্তির পর তার ভাগ্যে চাকা ঘুরে যায়। বর্তমানে
সে নিজে রিক্সা চালায় এবং তার স্ত্রীর সহায়তায় গৃহের পাশে একটি মুরগীর খামার গড়ে তুলেছে।
বর্তমানে তার আর্থিক দিয়ে স্বচ্ছলতা পূর্বের তুলনায় বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে, সন্তানদের
লেখা-পড়া করাতে বেগ পেতে হচ্ছে না। নিজের একটি সুন্দর গৃহ প্রাপ্তিসহ আর্থিক ও সামাজিক
দিক দিয়ে মোঃ লিটন সিকদার ও মোসা : নাসিমা
আক্তার দম্পতি সুখি ও স্বাবলম্বী।