- বিভাগঃ বরিশাল
- জেলাঃ ঝালকাঠি
- উপজেলাঃ কাঠালিয়া
- পৌরসভা/ইউনিয়নঃ কাঠালিয়া
জেলা :
ঝালকাঠি
উপজেলা : কাঠালিয়া
উপকারভোগীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের
নাম : মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার
“আশ্রয়ন-২ প্রকল্প” (১ম পর্যায়)
১. উপকারভোগীর বর্ণনা :
নাম :
মোঃ বাবুল জমাদ্দার
বয়স :
৫৫ বৎসর
স্ত্রী :
মোসা : লাকী বেগম (৪২)
সন্তান সংখ্যা :
২ জন (ছেলে)
মোবাইল :
০১৭৩৩-৪১৬৩২২
মোঃ বাবুল জমাদ্দার
(৫৫), পিতা : মৃত মোঃ মোসলেম জমাদ্দার , স্ত্রী : মোসা : লাকী বেগম (৪২), গ্রাম : দক্ষিণ
আউরা, ডাকঘর : কাঠালিয়া, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি ০২ টি ছেলে সন্তানের জনক। (০১) মোঃ রাকিব
জমাদ্দার (২৩) ও (০২) মোঃ সাকিব জমাদ্দার (১২)।
২. উপকারভোগী পূর্বের অবস্থায় কেমন ছিলেন : মুজিববর্ষ
উপলক্ষে ২ শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর পাওয়ার আগে উপকারভোগী কেমন ছিল তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা :
মোঃ বাবুল জমাদ্দার,
কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আউরা গ্রামের বাসিন্দা। বিষখালী নদীর ভাঙ্গনের
ফলে জমি ও গৃহহারা হয়ে নিঃস্ব অবস্থায় অন্যের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ০৪ সদস্যের পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যের সাথে নদীতে
মাছ ধরে যা উপার্জন করতেন তা দিয়ে কোন প্রকারে দিন অতিবাহিত করতেন। স্বামী, স্ত্রী
ও দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে মোঃ রাকিব জমাদ্দার(২৩) কে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা
করাতে সক্ষম হন এবং ছোট ছেলে মোঃ সাকিব জমাদ্দার (১২) কাঠালিয়া সদর ফাজিল মাদ্রাসার
৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। পরিবার পরিজন নিয়ে অতি
কষ্টে দিন যাপন করতেন।
৩. উপকারভোগীকে বরাদ্দকৃত ২ শতাংশ জমির বর্তমান
বাজার মূল্য :
উপকারভোগী মোঃ বাবুল
জমাদ্দার (৫৫)কে আউরা মৌজায় পশ্চিম আউরা গ্রামে ২ শতাংশ খাস জমি বরাদ্দ প্রদান করা
হয়েছে তার বর্তমান মূল্য প্রায় ৩,০০,০০০/ (তিন লক্ষ) টাকা।
৪. ঘর পেয়ে তিনি/তাঁর পরিবার বর্তমানে যেমন আছেন
:
মোঃ বাবুল জমাদ্দার
(৫৫) নদী ভাঙ্গনের ফলে নিজস্ব কোন জমি-জমা ঘরবাড়ি না থাকায় অন্যের বাড়িতে বাস করতেন
এবং অন্যের সাথে নদীতে মাছ ধরে যে টাকা উপার্জন করতেন তা দিয়ে থাকা-খাওয়া এবং সন্তানদের
লেখা-পড়া, পোষাক-পরিচ্ছদ, চিকিৎসাসহ সকল বিষয়ে সর্বদা অভাব অনটনসহ পরিবারের কারো চাহিদা
সে পুরণ করতে পারতো না বরং সংসারে সব সময়ই অশান্তি লেগেই থাকতো। মুজিববর্ষ উপলক্ষে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সরকারি খাস জমিতে ২ শতাংশ জমিসহ গৃহ প্রাপ্তির
পর তার ভাগ্যে চাকা ঘুরে যায়। মোঃ বাবুল জমাদ্দার নিজে কাঠালিয়া বাজারে মাছের ব্যবসা
করে গড়ে প্রতিদিন ৭০০/৮০০ টাকা আয় করে এবং স্ত্রী মোসা : লাকী বেগম সংসারের সকল কাজ-কর্ম
করেন। বর্তমানে তার বড় ছেলে মোঃ রাকিব জমদ্দার
(২৩) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। আর্থিক স্বচ্ছলতা পূর্বের তুলনায় বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। ছোট ছেলের লেখা-পড়া করাতে বেগ পেতে হচ্ছে না। নিজের
একটি সুন্দর গৃহ প্রাপ্তিসহ আর্থিক ও সামাজিক দিক দিয়ে মোঃ বাবুল জমাদ্দার ও মোসা : লাকী বেগম দম্পতি সুখি
ও স্বাবলম্বী।