• বিভাগঃ চট্টগ্রাম
  • জেলাঃ চট্টগ্রাম
  • উপজেলাঃ হাটহাজারী
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ গুমানমর্দ্দন

জেলা: চট্টগ্রাম

উপজেলা: হাটহাজারী

উপকারভোগীর আশ্রয়ন প্রকল্পের নাম: পেশকারহাট আশ্রয়ণ প্রকল্প

1। উপকারভোগীর বর্ণনা : রাশেদা বেগম বয়স চৌত্রিশ (৩8)। স্বামী মাসুদ করিম, (পূর্বের পেশা হোটেল বয়, বর্তমান পেশা ব্যবসা ) এবং 01 ছেলে 03 মেয়ে নিয়ে কোনরকম নিজের বাবার বাড়িতে থাকতেন। তার বড় মেয়ে এসএসসি পাশ, ২য় মেয়ে ৭ম শ্রেণী, ৩য় মেয়ে ৪র্থ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত এবং ছোট ছেলে এখনো স্কুলে যায় না।

 

২। উপকারভোগীর পূর্বের অবস্থায় কেমন ছিলেন: তার স্বামীর এবং নিজের কোন জমি ও ঘর ছিলনা। নিজের বাপরে বাড়ীর ছোট ঘরে ভাই-ভাবীর সাথে কোন রকমে অসম্মনজনকভাবে স্বামীর হোটেলের দৈনিক মজুরী দিয়ে কোন রকম খেয়ে-পরে দিন কাটাতেন। অর্থের অভাবে একসময় ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল

 

৩। উপকারভোগীকে বরাদ্দকৃত ২ শতাংশ জমির বর্তমান বাজার মূল্য : ২,৫০,০০০/- টাকা।

 

৪। ঘর পেয়ে তিনি/তাঁর পরিবার বর্তমানে কেমন আছেন: তিনি সবসময় স্বপ্ন দেখতেন একদিন তার নিজস্ব  একটি আশ্রয় হবে যেখানে পরিবার নিয়ে সম্মানের সাথে বসবাস করবেন। ২০২১ সালে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে হাটহাজারী উপজেলায় নির্মিত পেশকারহাট আশ্রয়ণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ২ শতক  জমিসহ সেমিপাকা ঘর প্রাপ্তির মাধ্যমে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বর্তমানে আশ্রয়ের চিন্তা মাথায় না থাকায়, অত্যন্ত সাবলিলভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরের সামনের আঙিনায় বিভিন্ন মৌসুমী শাক-সবজি গাছ লাগিয়ে পরিবারের চহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি তিনি বাজারে বিক্রি করছেন। তাছাড়া বাড়ির সামনের বারান্দায় তিনি জাল বুনেন, শীতল পাটি বানান এবং বাঁশ ও বেতের ঝুড়ি বানানএগুলো হাটের দিনে তার স্বামী বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যান।ছাড়া  প্রতিদিন সকালে (সিংগারা, সমুচা ও পিঠা) বানিয়ে তার স্বামীর মাধ্যমে হোটেলে নিয়ে বিক্রি করেন। তাছাড়াও বিয়ে বাড়ীতে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অর্ডারী নাস্তা বানিয়ে তা বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে পৌঁছে দেন। বর্তমানে এই আয় থেকে চলছে তার সংসার ও ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা। আশ্রয়সহ সাবলম্বী হতে পেরে তারা অত্যন্ত সুখী ও আনন্দিত।  তাছাড়া তার স্বামী আগে ছিলেন হোটেল বয় (মেসিয়ার) এখন নিজেই তার সাথে ব্যবসা করেন। ফলে তাদের সামাজিক মর্যাদা ও জীবনমান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।