• বিভাগঃ ময়মনসিংহ
  • জেলাঃ নেত্রকোণা
  • উপজেলাঃ বারহাট্টা
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ সিংধা

জনাব দুলাল চন্দ্রপাল, বয়সঃ ৬৫ বছর, স্ত্রীঃ লক্ষী রাণী পাল, গ্রাম: জীবনপুর, ইউনিয়ন: সিংধা, উপজেলা: বারহাট্টা, জেলা: নেত্রকোণা। পারিবারিকভাবে তাদের কোন সন্তানাদি না থাকায় দুইজনেরই সংসার। থাকতেন একই গ্রামে অন্যের বাড়ির পরিত্যাক্ত গোয়াল ঘরে। তিনি দিনমজুরের কাজ হিসেবে চন্দ্রপুর ধান কাটার দলের সাথে ধান কাঠার কাজ করতেন।  ধান কাঠার সময় শেষ হলে ঠেলা জালি দিয়ে খালে-বিলে মাছ ধরে বিক্রি করে সংসার চালাতেন। ব্যক্তিগতভাবে দুলাল চন্দ্রের একটি চোখ (বাঁ চোখটি) অন্ধ থাকায় কাজ করতেও খুব কষ্ট হয়। মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ২ শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর প্রদানের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর মৌখিক আবেদন করেন। উনার কথা শুনে একইদিন বিকেলে ওই এলাকায় খোজ খবর নিয়ে উনার কথার সত্যতা পাওয়া গেলে উনাকে ২ শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং পরিশেষে ঘর প্রদান করা হয়। বরাদ্দকৃত জমির বর্তমান মূল্য প্রায় ১,০০,০০০/- (একলক্ষ) টাকা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে উনি বলেন, “আগে আরেক জনের বাড়িত বাউল্লেয়া থাকতাম,  জাগা বাড়ি আছিন না, এখন জাগাও ওইছে বাড়িও ওইছে। আমরা বিরাট খুশি ওইছি” বলে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে যায়।  দুলাল চন্দ্রের শারীরিক অক্ষমতার জন্য তাকে একটি বয়স্ক ভাতা কার্ড করে দেয়া হয়েছে। গ্রামাঞ্জলে নিজের জায়গা-ঘর না থাকলে কেউ গরু-ছাগল পালনের জন্য বর্গা দেয় না। তাই কোন হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালন করতে পারতোনা। এখন তাদের নিজের যায়গা ও বাড়ি হয়েছে তাই বাড়ির পাশে খালি যায়গায় গরু পালন করে এবং সেই গরুর দুধ বিক্রি করে খুব ভালভাবেই জীবন যাপন করছে।