- বিভাগঃ চট্টগ্রাম
- জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- উপজেলাঃ আশুগঞ্জ
- পৌরসভা/ইউনিয়নঃ আড়াইসিধা
অভাবে এখন আর সন্তানদের পড়ালেখা বন্ধ করতে হয়না জালাল-ছাবিনার
জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া
উপজেলা আশুগঞ্জ
উপকারভোগীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নামঃ আড়াইসিধা আশ্রয়ণ প্রকল্প
জামাল মিয়া (৩৮) বছর ও ছাবিনা ইয়াসমিন (৩৩) একসময় অন্যের বাড়িতে কোনমতে ভাড়া থাকতেন। জামাল ছিলেন রাজমিস্ত্রি ও ছাবিনা ছিলেন গৃহকর্মী। অভাবের তাড়নায় বড় মেয়েটিকে দুই বছর পড়াতে পারেননি। এত অভাবে পরাবেনইবা কী করে! কিন্তু তাদের এ দুঃসময় কেটে যায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ও একখণ্ড জমি বরাদ্দ পাওয়ায়।
জামাল-ছাবিনা পরিবারটি যে ২ শতক জমি পেয়েছেন তার বাজার দর এখন প্রায় ১০ লাখ টাকা। তার সাথে আছে সেমি পাকা নিজের বাড়ি। সমাজে জামালের এখন সম্মান হয়েছে, রাজমিস্ত্রি থেকে তিনি এখন হেডমিস্ত্রি। অন্য মিস্ত্রিদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া এখন তার কাজ। ছাবিনা এখন সেলাই মেশিন কিনে স্বাবলম্বী। তার উপার্জিত আয় দিয়ে তিনি সিলিন্ডার চুলা কিনেছেন, জীবনে এসেছে স্বাচ্ছন্দ। জামাল মিয়া তার অল্প সঞ্চয় দিয়ে একটি পুরনো টেলিভিশন কিনেছেন। পুরনো হলেও ভালই চলে, তাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রীকেও টিভিতে দেখেন প্রায়ই, আর প্রাণভরে দোয়া করেন সেই মহান মানুষটির জন্য যার বদৌলতে আজ তারা স্বাবলম্বী, যার কারণেই তারা আবার তাদের বড় মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে পেরেছেন, যে এখন ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। এ পরিবারের ছোট মেয়েটিকেও তারা এ বছর নতুন করে স্কুলে দিয়েছেন। বাড়ির সামনেই পেয়েছেন সরকারি চাপকল, সুপেয় পানি পেতে এখন আর বাজারে যেতে হয়না। স্বপ্নপূরণের বাংলাদেশে মেয়েদের সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছেন তারা। যে অভাব ছিল তাদের নিত্যসংগী, সে অভাবকে বিতারিত করে তারা এখন স্বনির্ভর বাংলাদেশেরই যেন প্রতীক।