• বিভাগঃ চট্টগ্রাম
  • জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • উপজেলাঃ আশুগঞ্জ
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ আড়াইসিধা

একসময়ের রড মিস্ত্রি এখন রেমিটেন্স যোদ্ধা


জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া

উপজেলা আশুগঞ্জ

উপকারভোগীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নামঃ বাজার চারতলা আশ্রয়ণ প্রকল্প

 

হাবিবুর রহমান (৩৮) খাদিজা বেগম (২৯) দম্পতি দুই সন্তানকে নিয়ে বেশ অভাবেই অন্যের বাড়িতে আশ্রিত হয়ে দিন যাপন করতেন। হাবিবুর ছিলেন একজন রড মিস্ত্রি, খাদিজা ছিলেন গৃহপরিচারিকা। অভাবের সংসারে টানাটুনি ছিল নিত্যসঙ্গী। ছেলেমেয়ের ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা তো ছিলই। কিন্তু দিনবদলের শুরু হয় বছর আগে, যখন তারা ভূমিহীন গৃহহীন হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার শতক জমি, যার বাজার দর প্রায় ১০ লাখ টাকা একটি আধা-পাকা ঘর লাভ করেন।

হাবিবুর-খাদিজা পরিবারটি মাথা গোজার ঠাই পাওয়ায় তাদের আত্মসম্মান যেন এক লাফে অনেক বেড়ে যায়। খাদিজা ইতোমধ্যে বাড়ির পাশে শাক-সব্জি চাষ শুরু করেন, হাবিবুরও তার কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যান। তাদের সঞ্চয় এবং খাদিজার ভাইয়ের দেওয়া সাহায্যে হাবিবুর পাড়ি জমান সুদুর মধ্যপ্রাচ্যে, দক্ষ রড মিস্ত্রি হিসেবে। হাবিবুর এখন রেমিটেন্স যোদ্ধা। সেখান থেকে তিনি তার ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি ঘরে কিনেছেন টেলিভিশন, যাতে এখন তার এক সন্তান বিনোদনের পাশাপাশি মৌলিক স্বাস্থ্যশিক্ষা, জনশুমারিসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে জানতে পারছে। খাদিজা স্বামীর দেওয়া অর্থ তার জমানো অর্থ মিলিয়ে একটি ফ্রিজও কিনেছেন। মেয়েকে ১ম শ্রেণিতে ভর্তিও করিয়েছেন খাদিজা। হাবিবুর-খাদিজা শুধু নিজেদের ঘরেই স্বাচ্ছন্দ ফেরাননি, তিনি করোনা অতিমারি পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায় রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ করেছেন সমৃদ্ধ।

পরিবারটিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক খণ্ড জমি একটি ঘরই শুধু দেননি, দিয়েছেন সুখ-স্বাচ্ছন্দ, আশার আলো।