• বিভাগঃ চট্টগ্রাম
  • জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • উপজেলাঃ আশুগঞ্জ
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ আড়াইসিধা

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দ্বীন ইসলাম এখন মুদি দোকানদার

জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া

উপজেলা আশুগঞ্জ

উপকারভোগীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নামঃ বাজার চারতলা আশ্রয়ণ প্রকল্প

 

দ্বীন ইসলাম (৫০) রিতা বেগম (৪১) দম্পতিকে নিয়ে আগে সবাই হাসি-ঠাট্টা করত, কারণ দ্বীন ইসলাম অন্ধ হওয়ায় আগে ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। এক মেয়ে দুই ছেলেসহ দম্পতির আগে ছিলনা মাথা গোজার সামান্য জায়গাটুকুও। ভূমিহীন গৃহিহীন পরিবারকে যখন আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছিল তখন থেকেই তারা স্বপ্ন বোনা শুরু করে। স্বপ্ন তাদের সত্যি হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার একটি আধা পাকা ঘর শতক জায়গা পেয়ে। আড়াইসিধা ইউনিয়নের বাজার চারতলার পাশেই অবস্থিত শতক খাসজমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় লাখ টাকা। আগে পরিবারটি ভাসমান হিসেবে বাড়ি সে বাড়িতে আশ্রিত হয়ে থাকত। স্বামী করতেন ভিক্ষাবৃত্তি, স্ত্রী মানুষের বাড়িতে আয়ার কাজ করতেন। নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবারে সন্তানদের আগে কোন দৃশ্যমান ভবিষ্যত ছিলনা।

এখন দ্বীন ইসলাম আড়াইসিধা চকবাজারে একটি মুদি দোকান দিয়ে সৎ উপায়ে সম্মানজনক জীবিকা উপার্জন করেন। স্ত্রী রীতা বেগমও সেলাই শিখে একটি সেলাই মেশিন কিনেছেন। অন্যের কাপড় সেলাই করে ভালই আয় হয় এখন তার। এখন আর সন্তানদের পড়ালেখার খরচ যোগাতে কষ্ট হয়না দম্পতির। ছেলে-মেয়ের মধ্যে একজন ৯ম শ্রেণিতে, একজন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে, এক ছেলে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে। দ্বীন ইসলাম নিজে দেখতে না পেলেও সন্তানদের সঠিক মানসিক বিকাশের জন্য কিনেছেন টেলিভিশন এবং এর মাধ্যমেই তারা জানতে পারছেন সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসমূহ। শুধু তাই নয়, আগে যেখানে মাটির চুলায় বেশ ধুকে ধুকেই রিতা বেগমকে রান্না করতে হতো, এখন সেখানে তারা সিলিন্ডারের চুলা নিয়েছেন। দ্বীন ইসলাম এখন স্বপ্ন দেখছেন তার নতুন বাড়ির পাশেই বাজারচারতলার জন্য নির্ধারিত জায়গাটিতে বাজার জমে উঠলেই নিজের বারান্দাতেই সে একটি দোকান দিয়ে বসবে; তখন আর তাকে কষ্ট করে দূরে আড়াইসিধা বাজারে যেতে হবেনা। এক কথায় পুরো পরিবারটিই যেন নতুন করে স্বপ্ন দেখছে বাচার, সম্মানজনকভাবে বাচার। আর এটি সম্ভব হয়েছে কেবল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার জন্যই।