এখন আর অন্যের ছাগল পালতে হয়না মোছেনা দম্পতির

জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া

উপজেলা আশুগঞ্জ

উপকারভোগীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নামঃ আড়াইসিধা আশ্রয়ণ প্রকল্প

মোঃ শাহ আলম (৩৬) ও মোছেনা আক্তার (৩২) দম্পতির ৩ ছেলেমেয়ের পড়ালেখার খরচ দিতে গিয়ে গলদঘর্ম হওয়া লাগতো। আগে মোছেনা অন্যের হাস-মুরগি, ছাগল পালন করে দিতেন আর শাহ আলম করতেন দৈনিক মজুরি। আজ থেকে এক বছর আগে এ দম্পতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে তাতে থাকতে শুরু করায় তাদের আর বাড়তি ভাড়া দিয়ে অন্যের বাড়িতে থাকতে হচ্ছেনা। গত দুই বছরে সেই টাকা জমিয়ে তারা কয়েকটি ছাগলের বাচ্চা কিনে পালন করা শুরু করেছেন। শাহ আলমও কিছুটা জমিয়ে আর কিছু ধার করে একটি অটোরিকশা কিনেছেন। এখন আর তার রক্ত পানি করা কঠোর পরিশ্রম করা লাগেনা। শুধু তাই নয়, এ দম্পতি এখন তাদের সন্তানদের স্কুলেও পড়াচ্ছেন। তাদের এক মেয়ে পড়ে চতুর্থ শ্রেণিতে, দুই ছেলে পড়ছে ১ম ও ৩য় শ্রেণিতে। এই দম্পতির সাথে যখন কথা হচ্ছিল, তখন তাদের চোখেমুখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য যে কৃতজ্ঞতাবোধ ফুটে উঠেছিল তা এক কথায় অসাধারণ। মাথা গোজার একটি ঠাই তাদের একটি সামাজিক মর্যাদা দিয়েছে, দিয়েছে তাদের সন্তানদের শিক্ষার ব্যবস্থা করার সুযোগ।

মোছেনা আক্তার এখন বাড়ির আঙ্গিনায় সব্জিও চাষ করেন, তা যেমন নিজেরা খান তেমনি বিক্রয় করেন নিকটস্থ আড়াইসিধা বাজারেও। আগে যেখানে তাদের নিজের বলতে প্রায় কিছুই ছিলনা, এখন সেখানে তাদের একটি ঘর হয়েছে, ২ শতক জায়গা হয়েছে যার বাজার দর প্রায় ১০ লাখ টাকা, সম্মানজনক জীবিকা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।