• বিভাগঃ চট্টগ্রাম
  • জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • উপজেলাঃ আশুগঞ্জ
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ আড়াইসিধা

জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া

উপজেলা আশুগঞ্জ

উপকারভোগীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নামঃ আড়াইসিধা আশ্রয়ণ প্রকল্প

 

 

মোছাঃ জুলেখা বেগম (৪০) মোঃ হারুন মিয়া(৪৭) দম্পতির মোট সন্তান, এরমধ্যে এক ছেলে অটো রিকশা চালক, আর এক ছেলে ১ম শ্রেণিতে পড়ে। আর তিন মেয়ে যথাক্রমে ৭ম, পঞ্চম দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর পাওয়ার আগে জুলেখা বেগম আগে অন্য লোকের বাড়িতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। স্বামী পুর্বে ভাড়ায় রিকশা চালাতেন। ছিলনা মাথার উপর কোন ছায়া। মাসে দেড় হাজার টাকা ভাড়ায় অন্যের বাড়িতে থাকায় নূন আনতে পানতা ফুরাতো পরিবারের, ছিলনা কোন সঞ্চয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শনের সময় দেখা যায় বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করছিল ছোট দুই ভাই-বোনঃ ১ম শ্রেণি পড়ুয়া আব্দুর রহমান ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া শুভা বেগম। ঘর পেয়ে জুলেখা বেগম এখন অন্যের বাড়িতে কাজ বাদ দিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় শাক সবজি চাষ করছেন, যা দিয়ে নিজের সংসারের রান্নাসহ বিক্রি করে সংসারের আয়ও হচ্ছে। স্বল্প আয়ের পরিবারের এখন মাসে মাসে এখন আর ঘর ভাড়ায় কোন অর্থ ব্যয় হয়না। সে অর্থ জমিয়ে কিনেছেন অটোরিকশা, যা দিয়ে স্বপ্ন দেখছেন নিজের পরিবারকে নিয়ে স্বপ্নরাজ্যে চলার। জুলেখা এখন আর মাটির চুলায় রান্না করেননা, নিজেদের সঞ্চয়ের অর্থে কিনেছেন এল.পি গ্যাসের চুলা। জীবনযাত্রার মানে পরিবর্তন আসায় তার ভাই তাকে একটি টিভিও উপহার দিয়েছেন। এখন শুভাদের টিভি দেখার জন্য আশপাশের বাচ্চারাও ভিড় করে শুভাদের বাসায়।

একসময় ভিটে-মাটিবিহীন জুলেখা-হারুন দম্পতির এখন আশুগঞ্জ-বাজার চারতলা রাস্তার সাথে লাগোয়া দুই শতক জমি রয়েছে যার বর্তমান বাজার মূল্য মোট ১০ (দশ) লাখ টাকা। আর রয়েছে তার উপর সেমি পাকা একটি বাড়ি। যেন সত্যিই আজন্ম লালিত স্বপ্ন পূরণ হওয়া।