• বিভাগঃ চট্টগ্রাম
  • জেলাঃ চট্টগ্রাম
  • উপজেলাঃ লোহাগাড়া
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ পদুয়া

 লোহাগাড়া উপজেলার 3নং পদুয়া ইউনিয়নে মুজিব শতবষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার “ধলিবিলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের” বাসিন্দা মাকসুদা খাতুন। মাকসুদা খাতুন বতমানে 60 বছর বয়সী একজন বৃদ্ধা , যিনি একাকিত্ব জীবন যাপন করছেন। অন্যসব মহিলাদের মত মাকসুদা খাতুনের ও ছিল সাজানো এক সুখের সংসার , যেখানে ছিল স্বামী আবদুর রহমান , তিন ছেলে ও চার মেয়ে। খুব সুখেই কাটিছিল তার সাজানো সুখের সংসার । কিন্তু এত সুখ বুঝি সহ্য হচ্ছিল না মাকসুদা খাতুনের। তার স্বামী আবদুর রহমান 1998 সালে মরণব্যাধী ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। স্বামীর চিকিৎসা খরচ যোগাতে ভিটেমাটি টাকেও বিক্রি করতে হয়েছিল তাকে। তবুও স্বামীকে বাচাঁতে পারেননি তিনি। চার মেয়ে ও তিন ছেলে কে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন ভিটেমাটি হীন মাকসুদা খাতুন ।পদুয়া ইউনিয়নের চান্দারপাড়ায় নদী তীরর্বতী এক মাটির ঘরে আশ্রয় নেন তিনি। প্রতি বর্ষার মৌসুমে দুই বার করে ভেঙ্গে যেত এই ঘরটি। ছোট ছোট ছেলে মেয়ের ভরণপোষণের জন্য পাহাড় থেকে লাকড়ি, বনজঙ্গল থেকে ফুলঝাড়ু কুড়িয়ে এনে বাজারে বিক্রি করত, মাঝে মাঝে অন্যের বাড়িতে ঝি এর কাজ করেও জিবীকা নির্বাহ করতেন মাকসুদা খাতুন । বড়ছেলেটি সড়ক দুঘটনায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে এবং বড় মেয়েটি মারা যায়। অভাগা মাকসুদা খাতুন ছেলেমেয়েদের বিয়েশাদি করানোর পর স্বপ্ন দেখেছিল একটু বিশ্রাম নেবে, হবে তার নিজের একটি ঘর। কিন্তু মাকসুদার এই স্বপ্ন দেখার পূর্বেই ঘর ছাড়া হতে হল ছেলেদের কাছ থেকে । কোন সন্তানের কাছেই আশ্রয় পাচ্ছিল না তিনি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আত্বীয়স্বজন ও মেয়েদের স্বামীর বাড়িতে অবহেলিত জীবনযাপন করছিলেন তিনি। এমন সময় মাকসুদা খাতুন জানতে পারলেন মুজিব শতবষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীনদের ঘর উপহার দিবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরামশক্রমে তিনি একটি ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। নানান যাচাই বাছাই শেষে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাসুদা খাতুনের হাতে পৌছিঁয়ে দেয়া হলো তার স্বপ্নের ঠিকানা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ধলিবিলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর। মাকসুদা খাতুন পেয়েছেন এখন তার আপন নীড় যেখানে তিনি খুব স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা পোষণ করেছেন।