• বিভাগঃ রংপুর
  • জেলাঃ গাইবান্ধা
  • উপজেলাঃ পলাশবাড়ী
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ হোসেনপুর

কদিন আগেও যারা ছিলেন ভূমিহীন, দিন শেষে পরিবার নিয়ে রাত কাটতো অন্যের আশ্রয়ে, সেই মানুষ গুলো পেয়েছেন জমিসহ নতুন বাড়ি। সেখানে প্রথম ঈদ উদযাপনে মেতেছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা, নতুন এ ঠিকানা তাদের জীবনে এনে দিয়েছে পূর্ণতা।গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের বাহিরডাঙ্গা গ্রামে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে দেখা যায় বিস্তৃর্ণ সরকারি খাস জমিতে সাাঁরিবদ্ধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল কলোনি। সেখানে বসবাস করছেন ৬৯টি পরিবার।প্রত্যেক পরিবারের জন্য রয়েছে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর। রান্নাঘরসহ রয়েছে স্যানেটারি সুবিধা, আছে বারান্দও সে বাড়িতে প্রথম ঈদ উদযাপন করছেন তারা। তাইতো ঈদ পেরিয়ে গেলেও আনন্দের রেশ কাটছে না তাদের। কাছের ও দূরের আত্মীয়-স্বজনরা নতুন ঠিকানায় আসছেন ঈদের দাওয়াত খেতে। পরিবার প্রধানরা কাজে না গিয়ে সময় কাটাচ্ছেন আপনজনের সঙ্গে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পটির প্রথম সারির একটি ঘরের বাসিন্দা নজিমন বেগম (৭৫)। নাতির ছেলে চার-পাঁচ বছরের মিশকাতকে নিয়ে এ ঘরে বাস করেন তিনি। নাতি মশিউর জীবিকার তাগিদে স্ত্রীসহ ঢাকায় আছেন। বিকেলে ঘরের বারান্দায় ঝোলানো দোলনায় মিশকাতকে বসিয়ে আদর করে দোল দিচ্ছেলেন নজিমন বেগম।  জীবনভর অন্যের আশ্রয়ে কেটেছে। শেষ জীবনে এসে নিজের স্থায়ী ঠিকানা খুুঁজে পেয়িছি। এ সুখের অনুভূতি প্রকাশ করার মতো নয়। সামনে অগ্রসর হতেই দেখা মেলে আ. মান্নান সরকার ও রাবেয়া বেগম দম্পতির। বাড়ির আঙিনায় বসে স্নিদ্ধ বিকেল উপভোগ করছেন তারা। বাড়ির সামনে খোলা জায়গায় এক ছেলে-মেয়েকে নিয়ে খেলা করছে। কাজে না গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগে বাড়িতে আছেন আ. মান্নান, আ. মান্নান বলেন, আমাদের নিজস্ব জমি বা ঘর কিছুই ছিল না। মামা শ্বশুরের বাড়িতে পরিবার নিয়ে বাসবাস করতাম। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঘরহীন-ভূমিহীন মানুষদের কথা চিন্তা করে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। ফলে আমাদের মতো ছিন্নমূল পরিবারগুলো সম্মানের সঙ্গে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে। এ ঋণ কখনো শোধ হবার নয়। একই চিত্র আশ্রয়ণ কেন্দ্র জুড়ে। সবার চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক।