• বিভাগঃ চট্টগ্রাম
  • জেলাঃ ফেনী
  • উপজেলাঃ দাগনভূঞা
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ মাতুভূঞা

বিবি রহিমা (৪৮), স্বামী- নুরুন নবী পেশায় যাত্রী পরিবহনের ড্রাইভার ছিলেন। ৩ টি পুত্র সন্তান নিয়ে দিন ভালোই কাটছিলো তাদের। স্বামী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাক্তারের চিকিৎসায় বেশ কিছু রিপোর্ট করিয়ে জানতে পারেন স্বামীর ফুসফুস ক্যান্সার। এরপর থেকে শুরু হয় নতুন সংগ্রাম। কিভাবে একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামীকে বাঁচানো যায় তার প্রচেষ্টায় একে একে অর্থ-সম্পদ, ভিটে-মাটি সবই বিক্রি করে দেন। তারপরও শেষ রক্ষা হলো না। অকালে স্বামীকে হারিয়ে তার জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে বসেন। ৩ সন্তানকে নিয়ে কখনো পিতার বাড়ি আবার কখনো ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। প্রায় অপ্রাপ্ত বয়সেই সন্তানদেরকে লেখাপড়া ছেড়ে নামতে হয় জীবিকার উদ্দেশ্যে। কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রয়াসেই একটি স্থায়ী বাসস্থানের জন্য হন্নে হয়ে ঘুরছিলেন জনপ্রতিনিধিদের দুয়ারে দুয়ারে। শেষে ভরসা ফিরে পান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের বসত ঘর পেয়ে। এবার সামনে নতুন সুযোগ, নতুন স্বপ্ন। বড় ছেলেকে বিয়ে করান। তার পুত্রবধূসহ (বর্তমানে গর্ভবতী) থাকেন একই সাথে। তার সন্তানেরা পিতার পূর্বপরিচিত ড্রাইভার, পরিবহন মালিকদের সহযোগিতায় এখন পরিবহন শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। বসে নেই বিবি রহিমাও। ঘর গৃহস্থালি গুছিয়ে রাখেন নিজের পূর্ব আভিজাত্যকে স্মরণ রেখেই। হাঁস-মুরগী পালন করেন। শাক-সবজী চাষ করেন। সেই সাথে হাতের কিছু কাজ করেও সংসার পরিচালনায় স্বাভাবিক একটি গতি সঞ্চার করে রেখেন। এখন তার চোখে স্বপ্ন সন্তানের অনাগত সন্তান যেন তার নতুন ঘরে জন্ম নিয়ে তার সুখ-দুঃখের সাথে একাত্ম হয়ে বড় হয়ে উঠে। তাই সরকারের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা চিরন্তন।