• বিভাগঃ রংপুর
  • জেলাঃ রংপুর
  • উপজেলাঃ পীরগঞ্জ

একটি স্থায়ী আবাসস্থল হওয়ায় মোস্তফা বেগমের সন্তানদেরকে পড়ালেখা করানোর স্বপ্ন দেখেন। নিজের বাড়িতে থাকেন আর বাড়ির উঠানের পাশেই লাগিয়েছেন লাউ সিমের গাছ। সেখান থেকে নিজেদের চাহিদা মিটিয়েও বাজারে বিক্রয় করে এই মৌসুমে তিনি আয় করেছেন প্রায় ৩০ হাজার টাকা। বাড়িতে বিদ্যুতের আলো জলে উঠে সন্ধ্যায় সন্তানদের পড়ালেখার শব্দ তার স্বপ্নকে পূরণের আশা জাগায় সন্তানদের পড়ালেখার খরচ যোগাতে এখন আর কারও কাছে হাত পাততে হয় না। বাড়ীতে খাট ওয়্যারড্রব, ফ্যান, ইত্যাদি কিছুটা সুখের ছোঁয়া এনে দেয় ক্লান্ত শরীরে। ঘরের সাথে ছোট একটা চায়ের দোকানও দিতে পেরেছেন। সেখান থেকেও প্রতিদিন আয় হয় তার। এমন কথা বলার সময় মোস্তফা বেগমের চোখে চিকচিক করছিলো আনন্দের আলোকছটায়। বারবার করে ধন্যবাদ দিচ্ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তার এমন মহতী স্বপ্ন দেখার জন্য এবং তা বাস্তবায়নের জন্য। ধন্যবাদ দিচ্ছিলেন এই কাজের সাথে জড়িত প্রতিটি মানুষকে।মোস্তফা বেগমের ভাষ্যমতে, সরকারের এই মহতী উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে যে কোনো পরিবারের পক্ষই সম্ভব নিজেদের ভাগ্যকে বদলে দেয়ার শুধু বর্তমান প্রজন্ম নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র পেয়েছেন বলে বারবার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন তিনি।