• বিভাগঃ রংপুর
  • জেলাঃ রংপুর
  • উপজেলাঃ তারাগঞ্জ

আব্দুল হাইয়ের দোয়া বিফলে যায়নি। রঙিন টিনে ছাওয়া রঙিন ঘরের দলিল হাতে পেয়ে হাইয়ের বিষাদ মনে নতুন বসন্তের রং ছড়িয়ে পড়লো।দলিলের পাতা হতে যেন টাটকা ফুলের সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। হতাশার কালো মেঘ সরে গিয়ে ফাগুনের সুনীল আকাশের সোনালি রোদ পাখা মেলে ধরলো। ঋতু বদলের সাথে সাথে হাইয়ের জীবনও বদলে গেল। স্ত্রী তাহেরা সন্তানদের নিয়ে ঢাকা থেকে ফিরে এল। নতুন উদ্যমে নবজীবনের সূচনা হলো। তাহেরা অন্তরে পুষে রাখা সুখী সংসারের নকশা বাস্তবায়নে কোমর বেঁধে নেমে পড়লো। ঢাকায় কাজ করে যে টাকা জমিয়েছিল তা দিয়ে একটি গরু কিনে লালন-পালর শুরু করলো। ছয় মাসের মাথায় গরু দুটি বাচ্চা প্রসব করে। দুধ বিক্রির টাকায় প্রথমেই একটা টিভি কেনে তাহেরা। এই টিভি কেনার পেছনেও একটা দুঃখের ইতিহাস লুকিয়ে আছে- একদিন হামিদুল মেম্বারের বাড়িতে ডোরেমন কার্টুন দেখতে গিয়ে চড় খেতে হয়েছিল ছেলেটাকে। সেইদিনই প্রতিজ্ঞা করেছিল তাহেরা অবস্থা ফিরলে প্রথমেই একটি টিভি কিনবে তাহেরা। সারাজীবন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছে হাই, এখন একটু আয়েশ করার সময় এসেছে। তাই দিনমজুরি ছেড়ে বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় মুদি দোকান দিয়ে বসেছে সে। বিক্রি বাট্টা ভালোই হয়। ধবধবে সাদা লুঙ্গি পড়ে লাল রঙের টুলে বসে দোকানদারি করে হাই। বেশভূষায় এখন তাকে সাহেব সাহেব মনে হয়। সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় লোকজন আগ বাড়িয়ে তাকে সালাম দেয়। সালামের জবাব দিতে দিতে মুচকি হাসে হাই। পাকা বারান্দার মেঝেতে বসে স্বামীর জন্য সোয়েটার বুনতে বুনতে গুনগুনাতে থাকে তাহেরা- সুখের নেই কোনও ঠিকানাআব্দুল হাইয়ের দোয়া বিফলে যায়নি। রঙিন টিনে ছাওয়া রঙিন ঘরের দলিল হাতে পেয়ে হাইয়ের বিষাদ মনে নতুন বসন্তের রং ছড়িয়ে পড়লো।দলিলের পাতা হতে যেন টাটকা ফুলের সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। হতাশার কালো মেঘ সরে গিয়ে ফাগুনের সুনীল আকাশের সোনালি রোদ পাখা মেলে ধরলো। ঋতু বদলের সাথে সাথে হাইয়ের জীবনও বদলে গেল। স্ত্রী তাহেরা সন্তানদের নিয়ে ঢাকা থেকে ফিরে এল। নতুন উদ্যমে নবজীবনের সূচনা হলো। তাহেরা অন্তরে পুষে রাখা সুখী সংসারের নকশা বাস্তবায়নে কোমর বেঁধে নেমে পড়লো। ঢাকায় কাজ করে যে টাকা জমিয়েছিল তা দিয়ে একটি গরু কিনে লালন-পালর শুরু করলো। ছয় মাসের মাথায় গরু দুটি বাচ্চা প্রসব করে। দুধ বিক্রির টাকায় প্রথমেই একটা টিভি কেনে তাহেরা। এই টিভি কেনার পেছনেও একটা দুঃখের ইতিহাস লুকিয়ে আছে- একদিন হামিদুল মেম্বারের বাড়িতে ডোরেমন কার্টুন দেখতে গিয়ে চড় খেতে হয়েছিল ছেলেটাকে। সেইদিনই প্রতিজ্ঞা করেছিল তাহেরা অবস্থা ফিরলে প্রথমেই একটি টিভি কিনবে তাহেরা। সারাজীবন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছে হাই, এখন একটু আয়েশ করার সময় এসেছে। তাই দিনমজুরি ছেড়ে বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় মুদি দোকান দিয়ে বসেছে সে। বিক্রি বাট্টা ভালোই হয়। ধবধবে সাদা লুঙ্গি পড়ে লাল রঙের টুলে বসে দোকানদারি করে হাই। বেশভূষায় এখন তাকে সাহেব সাহেব মনে হয়। সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় লোকজন আগ বাড়িয়ে তাকে সালাম দেয়। সালামের জবাব দিতে দিতে মুচকি হাসে হাই। পাকা বারান্দার মেঝেতে বসে স্বামীর জন্য সোয়েটার বুনতে বুনতে গুনগুনাতে থাকে তাহেরা- সুখের নেই কোনও ঠিকানা